৮ কোটি টাকা বকেয়া, ১৭ দিন বন্ধ সিএনজি স্টেশন

কিশোরগঞ্জ-ভৈরব আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশের একটি সিএনজি ফিলিং স্টেশনে ৮ কোটি টাকা বকেয়ার গ্যাস সংযোগ বন্ধ করে দিয়েছে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি। এতে ১৭ দিন বন্ধ রয়েছে ফিলিং স্টেশনটি।
সদর উপজেলার চৌদ্দশত এলাকায় কিশোরগঞ্জ-ভৈরব আঞ্চলিক মহাসড়কের ওপর স্থাপিত ‘এম সোনার বাংলা সিএনজি ফিলিং স্টেশন’ নামের এই ফিলিং স্টেশনটি গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বন্ধ হয়ে যায়। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন এই সড়কে চলাচল করা যানবাহনের যাত্রীরা।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের কিশোরগঞ্জ জেলা ব্যবস্থাপক মুহাম্মদ মোশাররফ হুসাইন জানিয়েছেন, ফিলিং স্টেশনটির কাছে তিতাস কোম্পানির ৮ কোটি ১১ লাখ ৩০ হাজার ৯৭ টাকা বকেয়া রয়েছে। এর জন্য গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ফিলিং স্টেশনের গ্যাস লাইন বিচ্ছিন্ন করে দেয় বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। ফলে গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় ফিলিং স্টেশনটি বন্ধ রয়েছে। বকেয়া পরিশোধ করা নিয়ে ফিলিং স্টেশনটির মালিক পক্ষ তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির বিরুদ্ধে ৮টি মামলা করেছে। এর আগে গত বছর ২১ জানুয়ারি সিএনজি ফিলিং স্টেশনটির কাছে ৬ কোটি টাকা বকেয়া থাকায় সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছিল।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
জানা যায়, ফিলিং স্টেশনটি ২০১৮ সালের ২২ ডিসেম্বর ঘণ্টায় ৫৫৩ ঘনমিটার সঞ্চালন ক্ষমতা নিয়ে যাত্রা শুরু করে। চালু থাকা অবস্থায় ফিলিং স্টেশনে গ্যাস নেওয়ার জন্য হালকা ও ভারি যানবাহনের লম্বা লাইন থাকতো।
রোববার (৯ মার্চ) রোববার ফিলিং স্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে, পুরো এলাকা ফাঁকা। কোনো যানবাহন নেই। কর্মকর্তারাও কেউ সেখানে নেই। পুরো এলাকা ফাঁকা।
বিজ্ঞাপন
সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক বেলাল হোসেন বলেন, আমরা নিয়মিত কিশোরগঞ্জ থেকে ভৈরবে যাতায়াত করি। যাওয়া-আসার পথে প্রয়োজনমতো গ্যাস নিতাম। কিন্তু এখন গ্যাসের জন্য আরও উল্টো ৫০ কিলোমিটার দূরে ভৈরবে যেতে হচ্ছে। লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে গ্যাস নিতে হচ্ছে, এতে আমাদের অনেক সমস্যা হচ্ছে।
কিশোরগঞ্জ রুটের সিএনজি চালক নাঈম ইসলাম জানান, কিশোরগঞ্জ-ভৈরব রুটের সিএনজি চালকরা প্রায়ই এম সোনার বাংলা ফিলিং স্টেশন থেকে গ্যাস নিতেন। বন্ধ থাকায় এখন আমাদের ভোগান্তি হচ্ছে। সিএনজিচালিত সব ধরনের যানবাহনের এখন চরম ভোগান্তি হচ্ছে। এছাড়া অনেক মানুষ ঢাকা থেকে ফেরার সময় এখন থেকে গ্যাস নেবেন মনে করে আসেন, এসে দেখেন পাম্প বন্ধ।
ফিলিং স্টেশনের মালিক রানা চৌধুরী বলেন, বকেয়া থাকায় তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড আমাদের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। বকেয়া পরিশোধ করার চেষ্টা করছি। এছাড়াও অন্য সমস্যা রয়েছে যা আমি বলতে চাই না।
বিজ্ঞাপন
এসকে রাসেল/এমএন/জিকেএস
বিজ্ঞাপন