রূপসা ঘাটের পন্টুন-গ্যাংওয়ের বেহালদশা, ভোগান্তিতে যাত্রীরা

খুলনার রূপসা ঘাটের দুই পাড়ের পন্টুন এবং গ্যাংওয়ে ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। একাধিক জায়গায় লোহা খসে তৈরি হয়েছে ফাঁকা। ভারবহনে দুর্বল হয়ে পড়েছে গ্যাংওয়ে। ফলে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগে পড়ছে সাধারণ মানুষ।
এই ঘাট দিয়ে প্রতিদিন দুই পাড়ে হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে। নিয়মিত টোল আদায় হলেও সংস্কার হচ্ছে না।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
অন্যদিকে, বিগত দিনে খুলনা সিটি করপোরেশন রুপসা ঘাট নিয়ন্ত্রণ করলেও ৫ আগস্টের পর খুলনা বিআইডব্লিউটিএ ঘাটটি নিজেদের আয়ত্তে নিয়ে ইজারা দিয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, রূপসার পশ্চিম পাড়ে পন্টুন ভালো থাকলেও মরিচা পড়ে ভাঙন ধরেছে গ্যাংওয়েতে। যেখানে সেখানে হয়েছে ছিদ্র। দুর্ঘটনা এড়াতে ছিদ্র জায়গায় ইট দিয়ে রাখা হয়েছে। একই দশা পূর্ব পাড়ের গ্যাংওয়ের। সাধারণ মানুষ গ্যাংওয়ে দিয়ে যাওয়ার সময় ভোগান্তিতে পড়ছেন।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, খান জাহান আলী সেতু তৈরি হওয়ার পর কালক্রমে রূপসা ফেরিঘাট খেয়াঘাটে পরিণত হয়। ফেরি না থাকলেও এই ঘাটটি যাতায়াতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি মাধ্যম। ট্রলারে করে প্রতিদিন প্রায় ৪০ হাজার মানুষ এই ঘাট পারাপার হন।
সবশেষ অর্থবছরে এই ঘাট থেকে খুলনা সিটি করপোরেশন রাজস্ব আয় করেছে প্রায় ৬৫ লাখ টাকা। তবে ৫ আগস্টের পর বিআইডব্লিউটিএ ঘাটটি নিজেদের আয়ত্তে নিয়ে ইজারা দিয়েছে।
বিজ্ঞাপন
এ বিষয়ে খুলনা সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী বলেন, ৫ আগস্টের পর খুলনা বিআইডব্লিউটিএ ঘাটটি নিজেদের আয়ত্তে নিয়ে ইজারাদার নিয়োগ দিয়েছে। এজন্য আমরা সংস্কার করতে পারছি না।
খুলনা সিটি করপোরেশন এ বিষয়ে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে জানান এই প্রকৌশলী।
বিজ্ঞাপন
ঘাট পারাপারের সময় রফিক আলী বলেন, ঘাটে নিয়মিত টোল আদায় করা হয়। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সংস্কারের বিষয়টি আমলে নিচ্ছে না। ফলে সাধারণ মানুষ দুর্ভোগে পড়ছেন।
চাকুরীজীবী আসাদুজ্জামান বলেন, আমি নগরীর গগন বাবু রোডে থাকি। এই ঘাট পাড় হয়ে ফকিরহাটে আমার কর্মস্থলে যাতায়াত করতে হয়। গ্যাংওয়ের বিভিন্ন জায়গা ভেঙে গেছে। একরকম আতঙ্ক নিয়ে প্রতিদিন ঘাট পারাপার হতে হয়।
পূর্ব রূপসা ঘাট পাড় হওয়ার সময় মেহেদী হাসান ওমর অভিযোগ করে বলেন, নিয়মিত টোল আদায় হলেও দীর্ঘদিন ঘাটের পন্টুন আর গ্যাংওয়ে সংস্কার করছেন না সংশ্লিষ্টরা। যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ’র যুগ্ম পরিচালক (খুলনা) মোহম্মদ আশরাফ উদ্দিন বলেন, রুপসা ঘাটের পল্টন এবং গ্যাংওয়ে সংস্কার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। খুব শিগগির কাজ শেষ হবে।
বিজ্ঞাপন
মো: আরিফুর রহমান/জেডএইচ/এএসএম
বিজ্ঞাপন