রোয়ানু মোকাবেলায় প্রস্তুত চট্টগ্রাম
ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু মোকাবেলায় প্রস্তুত চট্টগ্রাম। ৪৭৯টি কেন্দ্রে আশ্রয় নিচ্ছে উপকূলীয় মানুষ। আশ্রয় কেন্দ্রের সাড়ে চার লাখ মানুষের জন্য প্রস্তত রয়েছে ২৪২টি মেডিকেল টিম। পাহাড় ধস মোকাবেলায় চলছে বিরতিহীন মাইকিং। রোয়ানুর আঘাত এবং ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় এ প্রস্ততি নেয়া হয়েছে বলে জানালেন জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন।
এ ছাড়া বৃহস্পতিবার থেকে দফায় দফায় চলছে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভা। উপকূলীয় এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে, বাংলাদেশ বেতারে সতর্কতা সংকেত বারবার ঘোষণা করা হচ্ছে। সরকারি-বেসরকারিভাবে স্বেচ্ছাসেবকরা ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী উদ্ধার কাজের জন্য ইতোমধ্যে চট্টগ্রামের উপকূলীয় উপজেলাগুলোতে অবস্থান করছেন। জেলা প্রশাসনের ভাণ্ডারে পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুদ রয়েছে। এছাড়া উপজেলায়ও শুকনো খাবার প্রেরণ করা হচ্ছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে।
জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন জানান, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক খোলা রাখা হয়েছে কন্ট্রোলরুম। নগরীর পতেঙ্গা, কাট্টলী এবং জেলার সীতাকুণ্ড, মিরসরাই, বাঁশখালী, আনোয়ারায় মাইকিং করে লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে বলা হচ্ছে। ইতোমধ্যে লোকজন আশ্রয় কেন্দ্রে আসা শুরু করেছে।
আশ্রয় কেন্দ্রের লোকজনের জন্য শুকনা খাবার (চিড়া-গুড়), প্রাথমিক চিকিৎসা বাক্স, মোমবাতি, ম্যাচ মজুদ রাখা হয়েছে। উপজেলা অফিস থেকে এসব বিতরণ শুরু হবে দ্রুত সময়ের মধ্যে।
সন্দ্বীপ পৌর মেয়র জাফরুল্লাহ টিটু বলেন, শুক্রবার রাতে কেউ আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে আসেনি। তবে শনিবার সকাল থেকে লোকজন আসতে শুরু করেছে। পুরা সন্দ্বীপে ব্যাপকভাবে মাইকিং করা হয়েছে। প্রশাসনের সহায়তায় লোকজনকে আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে আনতে কাজ চলছে।
দুর্যোগ মোকাবেলায় চট্টগ্রাম মহানগরে ৯টি এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫টি করে মেডিকেল টিম রয়েছে। এছাড়া কমিউনিটি ক্লিনিকের টিমও কাজ করবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার থেকে আগাম প্রস্তুতি হিসেবে পরবর্তী আদেশ না আসা পর্যন্ত চট্টগ্রামের সকল সরকারি ও আধাসরকারি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সব রকম ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
এদিকে জেলার উপকূলবর্তী উপজেলাসমূহে জেলা প্রশাসন ও নগরীর উপকূলবর্তী ওয়ার্ডসমূহে সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে জনসাধারণকে সচেতন করতে মাইকিং শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিটি কর্পোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা আবদুর রহিম।
জীবন মুছা/বিএ/এমএস