২০১৬-১৭ অর্থবছরে রাবির বাজেট ৪৯০ কোটি টাকা
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৬টি খাতে ৪৯০ কোটি ৬১ লাখ টাকা বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। এ সময় ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরের ৩৯১ কোটি ৪৮ লাখ টাকার সংশোধিত বাজেটও পেশ করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মুহম্মদ মিজানউদ্দিনের সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার ২২তম সিনেট অধিবেশনের দিনব্যাপি অনুষ্ঠানের তৃতীয় পর্বে এই বাজেট প্রস্তাব করা হয়। তৃতীয় অধিবেশন শেষে সিনেট সচিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মু. এন্তাজুল হক সাংবাদিকদের প্রেস ব্রিফিং করেন।
অধ্যাপক মু. এন্তাজুল হক জানান, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে প্রস্তাবিত বাজেটে বেতন ও ভাতা খাতে ৩১২ কোটি ৩৫ লাখ টাকা, পেনশন খাতে ৬৫ কোটি ৮২ লাখ টাকা, সাধারণ আনুষঙ্গিক খাতে ৩৭ কোটি ৫ লাখ টাকা, শিক্ষা আনুষঙ্গিক খাতে ৩৩ কোটি ১৯ লাখ টাকা, মেরামত সংরক্ষণ ও পুনর্বাসন খাতে ২১ কোটি ৮৩ লাখ টাকা এবং মূলধন ব্যয়ে ৮ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে।
বাজেটের উপর আলোচনা শেষে তা অনুমোদিত হয়। বাজেট সংক্রান্ত আলোচনায় সিনেটরবৃন্দ বাজেটে শিক্ষা ও গবেষণা খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি, অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে আয় বৃদ্ধি এবং আনুষঙ্গিক খাতে ব্যয় সংকোচনসহ বেশ কিছু পরামর্শ দেন।
সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক মুহম্মদ মিজানউদ্দিন বলেন, একটি দেশের শক্তিঘর হিসেবে কাজ করে সে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয় হবে এমন একটি স্থান যেখানে চারদিক থেকে সব ধরনের জ্ঞান অর্জন, জ্ঞান সৃষ্টি ও জ্ঞান চর্চার জন্য লোক আসবে। ধীশক্তির নিরাপদ প্রসার ও কল্পনার দ্বার হবে উন্মুক্ত।
এই সিনেট অধিবেশনে বার্ষিক কার্যবিবরণী, বার্ষিক প্রতিবেদন অনুমোদন করা হয় এবং সর্বশেষ প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। সভাটি সঞ্চালনা করেন সিনেটের সচিব বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মু. এন্তাজুল হক।
এর আগে সকাল ১০টায় জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে সভার কর্মসূচি শুরু হয়। এরপর মরহুম বিশিষ্টজনদের স্মরণে শোক প্রস্তাব গ্রহণ ও তাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ও রুহের মাগফিরাত কামনায় এক মিনিট নীরবতা পালন ও মোনাজাত করা হয়। সভায় প্রায় ৬০ জন সিনেটর অংশ নেন।
রাশেদ রিন্টু/বিএ