ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ক্যাম্পাস

সেবা না পেয়েও প্রতি মাসে বিটিসিএলকে বিল দিচ্ছে বেরোবি

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক | বেরোবি | প্রকাশিত: ০৫:২৭ পিএম, ০৯ জানুয়ারি ২০২৫

বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) সেবা না পেয়েও প্রতি মাসে ন্যূনতম বিল গুনছে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়। দীর্ঘদিন ধরে বিটিসিএলের লাইনে কাজ না করায় বেশিরভাগ তার নষ্ট হয়ে গেছে। দেখাশোনারও কেউ নেই। এ অবস্থায় অচল লাইনে বিল সচল থাকায় অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশলী দপ্তর সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫০টি টেলিফোন সংযোগ রয়েছে। তবে দুটি সংযোগ বাদে সবগুলোই অচল। সচল দুটির মধ্যে একটি উপাচার্য অফিসে ও আরেকটি উপাচার্যের কোয়ার্টারে। ৫০টির মধ্যে ১৮টি টেলিফোনের জন্য প্রতি মাসে একেকটির জন্য ন্যূনতম (১৭৩ টাকা) বিল দিতে হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিটিসিএলের বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্ভার রুম বন্ধ। এখানকার দায়িত্বে বর্তমানে কেউ নেই। এটি আইসিটি সেলের দপ্তরের অধীনে বলে জানিয়েছে প্রকৌশল দপ্তর। তবে আইসিটি সেলের দায়িত্বরত কর্মকর্তারা বলছেন, এটা প্রকৌশল দপ্তরের অধীনে।

এ বিষয়ে সহকারী প্রকৌশলী (তড়িৎ) আহসানুল হাবিব বলেন, ‘টেলিফোন সংযোগ দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ। এটার নিয়ন্ত্রণ অফিসিয়ালি কেউ করেন না। তবে দুটি চালু ছিল। সে দুটি এখন চলে কি না জানি না। তবে প্রতি মাসে একটা মিনিমাম বিল দিতে হয়।’

বন্ধ সংযোগে কতদিন ধরে বিল দেওয়া হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের এখানে দেড় দুই বছর ধরে বিল আসছে। আমরা সেটা প্রদান করছি। আগে কীভাবে দিতো কে দিতো সেটা আমি জানি না।’

এ বিষয়ে আইসিটি সেলের নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার বেলাল হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমরা শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারনেট সংক্রান্ত বিষয়গুলো দেখাশোনা করি। টেলিফোনের বিষয়গুলো আমরা দেখি না। কারণ এটার সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। এটা প্রকৌশল দপ্তর দেখে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. হারুন অর রশীদ জাগো নিউজকে বলেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়েছি। বন্ধ ফোনগুলো সচল করার জন্য পিবিএক্স সিস্টেমে নিয়ে আসার চেষ্টা করছি। এজন্য একটি কমিটি করে দিয়েছি।

ফারহান সাদিক সাজু/এসআর/জিকেএস