ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ক্যাম্পাস

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ডামি নির্বাচন প্রদর্শনী

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় | প্রকাশিত: ০৪:১৭ পিএম, ০৭ জানুয়ারি ২০২৫

গত বছরের ৭ জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত শেখ হাসিনার ডামি নির্বাচনের এক বছর উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ডামি নির্বাচন প্রদর্শনী ও ভোটদান প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এতে ‘যত ভোট তত নোট’ স্লোগান দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রুপক টাকার বিনিময়ে ভোট প্রদান করেন।

মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় ঢাকা ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস রাইটস ওয়াচ প্লাটফর্মের আয়োজনে এ প্রদর্শনী ও ভোটদান প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।

এ সময় তারা, ‘ভোট সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে’; ‘মধ্য রাতের ভোট’; ‘ডামি নির্বাচন’; ‘দশটা হোন্ডা, দশটা গুণ্ডা, নির্বাচন ঠাণ্ডা’; ‘মধ্য রাতের ভোট’; ‘দ্যা ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ’; ‘আপনার বাবার ভোটও দেওয়া হয়েছে, কিন্তু বাবা তো মৃত’- ইত্যাদি প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ডামি নির্বাচন প্রদর্শনী

প্রদর্শনী ঘুরে দেখা যায়, এক মিনিটে কে কতগুলো ভোট দিতে পারে সেটা নিয়েই এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সেখানে একজনকে সাদা কাফনের কাপড় পড়ে মৃত ব্যক্তি সেজে ভোট দিচ্ছেন। তাছাড়া, এক বছরের শিশুও এই নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন। এসময় একজনকে নির্বাচন কমিশনার আবদুল আওয়াল ও কয়েকজনকে প্রিজাইডিং ও সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে দেখানো হয়।

আয়োজকরা জানান, ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে শেখ হাসিনা একটি ডামি নির্বাচনের আয়োজন করে। এতে বৃহৎ রাজনৈতিক দলগুলো ভোট বর্জন করলেও নির্বাচন সম্পন্ন করা হয়। এতে খুব কম সংখ্যক ভোট প্রদান হলেও নির্বাচন কমিশন জানায় প্রায় ৪০ শতাংশ মানুষ ভোট প্রদান করেছে। এই নির্বাচনে মৃত ও প্রবাসীরাও ভোট দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মোসাদ্দিক আলী ইবনে মুহাম্মদ বলেন, আওয়ামী লীগ গত ১৬ বছর ধরে ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছিল। নির্বাচনের নামে তামাশা, নিজেরাই প্রধান দল আবার তারাই বিরোধী দল হিসেবে অংশ নিতো। যেখানে মৃত ব্যক্তি এসে ভোট প্রদান করেছিল। এজন্য আমরা আজকে ডামি ভোট প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছি। এখানে অনেকে প্রতীকী ভোট দিয়েছে, আমরাও তাদের ডামি টাকার নোট দিয়েছি। এখানে অনেক প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার ভাইয়েরাও ছিলেন যারা গতবার ভোট দিতে পারেননি। আমরা তাদের আজকে সে সুযোগ তৈরি করে দিয়েছি।

এমএইচএ/এসআইটি/এএসএম