ছাত্রলীগ নেতাদের ছবিতে জুতা মারতে পারলে উপহার কোমল পানীয়
নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ৭৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে শেখ মুজিবুর রহমান, শেখ হাসিনাসহ সংগঠনটির শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের ছবিতে জুতা নিক্ষেপ ও কুশপুতুল দাহ করে ‘হেইট থ্রু’ কর্মসূচি পালন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) একদল শিক্ষার্থী।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে তিনটায় রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ছাত্রলীগকে ‘ফ্যাসিবাদী ও জুলুমের কান্ডারি’ উল্লেখ করে ‘ঢাকা ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস্ রাইট ওয়াচ’-এর ব্যানারে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
এসময় শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগ জঙ্গী-সন্ত্রাসীদের সঙ্গী, কাদেরের গালে গালে-জুতা মারো তালে, সাদ্দামের গালে গালে-জুতা মারো তালে তালে, হৈ হৈ রৈ রৈ-ছাত্রলীগ গেলি কই?, গেস্টরুমের ঠিকানা-এই ঢাবিতে হবেনা, ইনিকিলাব জিন্দাবাদ-মুজিববাদ মুর্দাবাদ প্রভৃতি স্লোগান দেন।
'হেইট থ্রু' কর্মসূচিতে একটি ব্যানারে শেখ মুজিব, শেখ হাসিনা, ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ওবায়দুল কাদের, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান, কেন্দ্রীয় নেতা ও ঢাবি রোকেয়া হলের সভাপতি আতিকা বিনতে হোসেন, ঢাবি সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের ছবি রাখা হয়। এর পাশে ছাত্রলীগের লোগোর আরেকটি ছবি রাখা হয়।
এসময় কর্মসূচির অন্যতম আয়োজক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজের শিক্ষার্থী এবি জুবায়ের বলেন, আজ নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে মূলত শিক্ষার্থীদের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটানোর প্রতীক হিসেবে। ছাত্রলীগ শিক্ষার্থীদের নির্যাতনের সব ধরনের উপায় ব্যবহার করতো। এসময় শিক্ষার্থীদের উপর হামলার জন্য ছাত্রলীগের দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিচার দাবি করেন তিনি।
বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মোসাদ্দেক আলী বলেন, ছাত্রলীগের কুশপুতুল পোড়ানোর যে আগুন তারচেয়ে বেশি আগুন জ্বলে আমাদের বুকে। ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে হলের সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটি আতঙ্ক কাজ করতো। তারা আমাদের আধুনিক দাসপ্রথার দিকে ঠেলে দিয়েছিল। তাদের ছবিতে জুতা নিক্ষেপ ও আগুন দেওয়ার মাধ্যমে নির্যাতন ও আধিপত্যবাদের কবর রচনা করেছি।
এমএইচএ/এমএইচআর/জেআইএম