জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নবান্ন উৎসব পালন
বাংলা চিরায়ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ধরে রাখতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের আয়োজনে নবান্ন ও পিঠা উৎসব হয়েছে।
রোববার (১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মহুয়া মঞ্চে এ উৎসব হয়। এর উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান। এর আগে বিকেল থেকেই বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিঠার স্টল নিয়ে বসেন।
অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া অতিথি এবং দর্শকদের পরিবেশন করার হয় গ্রামীণ সংস্কৃতির পরিচিত খাবার- মুড়ি, পিঠাপুলি, বাতাসা ইত্যাদি। বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রযোজনা করেন।
উপাচার্য বলেন, কৃষিপ্রধান সমাজে কৃষকরা ফসল উৎপাদনের নানা সময়ে বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠান পালন করতেন। ক্রমান্বয়ে সেগুলো হারিয়ে যাচ্ছে। সাংস্কৃতিক রাজধানী খ্যাত জাহাঙ্গীরনগরে আমাদের মৌলিক সংস্কৃতি যারা সর্বাধিক মর্যাদা এবং গুরুত্ব সহকারে পালন করে তাদের মধ্যে বাংলা বিভাগ অন্যতম।
বাংলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক শামীমা সুলতানা বলেন, নবান্ন বাঙালির নতুন ধানের প্রাণের উৎসব হিসেবে যুগ যুগ ধরে ঐতিহ্য বহন করে আসছে। অগ্রহায়ণে ধান কাটার পর অবসরে গ্রাম বাংলার জনসাধারণ পিঠা-পায়েসসহ নানা খাবারের আয়োজন করে। নিমন্ত্রণ জানায় আত্মীয়-স্বজনদের। কিন্তু ধীরে ধীরে চর্চার বাইরে চলে যাচ্ছে চিরায়ত বাঙালি সংস্কৃতির উৎসবটি। উৎসবটিকে সমুন্নত রাখতে বাংলা বিভাগ দীর্ঘদিন ধরে এই আয়োজন করে আসছে।
সৈকত ইসলাম/জেডএইচ/জিকেএস