ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
বিভাগের নাম নিয়ে বিভক্ত শিক্ষার্থীরা, ফটকে তালা একাংশের
কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ‘জিওগ্রাফি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট’ বিভাগের বর্তমান নাম পরিবর্তন নিয়ে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন বিভাগটির শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের একটি অংশ নাম পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে আসছেন।
একই দাবিতে রোববার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক আটকে বিক্ষোভ করেন তারা। তবে বিভাগের বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই বর্তমান নামের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা দিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এসময় প্রশাসনের পক্ষ থেকে তিন দিনের মধ্যে দাবি আদায়ের আশ্বাস না দেওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। আধাঘণ্টা পর দুপুর আড়াইটায় প্রক্টরিয়াল বডির পক্ষ থেকে উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনার আশ্বাসে ফটক ছাড়েন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। পরে প্রশাসন ভবনের তৃতীয় তলার সভাকক্ষে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন উপাচার্য।
জানা গেছে, ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে ‘এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড জিওগ্রাফি’ নামে বিভাগটির যাত্রা শুরু হয়। পরে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থীদের ভর্তির পর ২০২১ সালে ওই তিন ব্যাচের শিক্ষার্থীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিভাগের নাম পরিবর্তন করে ‘জিওগ্রাফি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট’ করা হয়। তবে বর্তমানে আবারও দ্বিতীয় দফায় বিভাগের নাম পরিবর্তনের জন্য শিক্ষার্থীদের একটি পক্ষ আন্দোলন করছেন।
বিভাগের সদ্য সাবেক সভাপতি সহকারী অধ্যাপক ইনজামুল হক বলেন, ‘বিভাগের সব শিক্ষার্থী নাম পরিবর্তন চায় না। এটি কিছু শিক্ষার্থীর দাবি। এর আগে শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতেই নাম পরিবর্তন করা হয়েছিল। এরপরও আমরা শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী সব প্রসিডিউর সম্পন্ন করে প্রশাসনে দিয়েছি। কিন্তু এটি তো এক-দুদিনের কাজ না। এসময় এভাবে আন্দোলন যৌক্তিক নয়।’
বিভাগের বর্তমান সভাপতি সহকারী অধ্যাপক বিপুল রায়কে এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি কৌশলে এড়িয়ে যান। তিনি বলেন, আমি আমার কলিগদের নিয়ে উপাচার্যের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করার চেষ্টা করছি।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, ‘সব শিক্ষার্থীই যদি বিভাগের নাম পরিবর্তন চায় তাহলে উপাচার্যের সেখানে বাধা দেওয়ার নৈতিক এবং আইনগত অধিকার নেই। তবে সেটা নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে হতে হবে। দাবি আদায়ের জন্য কোনো মাইক ব্যবহার ও মিছিল করার প্রয়োজন নেই।’
মুনজুরুল ইসলাম/এসআর/জিকেএস