ইবিতে র্যাগিং, প্রতিবেদন চেয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের চিঠি
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) নবীন শিক্ষার্থীদের র্যাগিংয়ের ঘটনায় প্রতিবেদন চেয়ে চিঠি দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। রোববার (২৪ নভেম্বর) মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব শাহীনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত সে চিঠি প্রতিবেদকের হাতে এসেছে।
অভিযুক্তরা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের সাব্বির হোসেন, শেহান শরীফ শেখ, শরিফুল ইসলাম লিমন, কান্ত বড়ুয়া, জিহাদ, শফিউল্লাহ, তরিকুল, মুকুল ও ল’ অ্যান্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের সঞ্চয় বড়ুয়া।
১৮ নভেম্বর মধ্যরাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের লালন শাহ হলে নবীনদের র্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠলে হলের অন্য শিক্ষার্থীরা কয়েকজনকে ধরে ক্যাম্পাসের ইবি থানায় সোপর্দ করে। পরে এক ভুক্তভোগী ৯ জনরে বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলে সোপর্দ থাকা পাঁচজনকে আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তাদের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। পরদিন ২০ নভেম্বর বিজ্ঞ আদালত অভিযুক্তদের জামিন মঞ্জুর করেন। একইদিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-উপদেষ্টা বরাবর র্যাগিংয়ের বিচার চেয়ে লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগীরা।
এদিকে ঘটনার প্রেক্ষিতে গত ১৯ নভেম্বর হলের প্রভোস্টকে আহ্বায়ক করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিকে দ্রুততম সময়ে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছিল। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ক্যাম্পাস সংলগ্ন একটি মেসে ও হলে তাদের ১৭ দিন ধরে শারীরিক, মানসিক ও যৌন হয়রানিমূলক নির্যাতন করা হয়েছে।
লালন শাহ হলের প্রভোস্ট ও তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আখতার হোসেন বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে যে প্রতিবেদন চাওয়া হয়েছে তা আমরা রেজিস্ট্রারের কাছে জমা দিয়েছি। আমাদের তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সবার সাক্ষাৎকার নেওয়া হচ্ছে। দুয়েক দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে পারবো।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচ এম আলী হাসান বলেন, হল থেকে প্রতিবেদন আমার কাছে দিয়েছে। সেটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে যতদ্রুত সম্ভব পাঠানো হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব শাহীনুল ইসলাম বলেন, পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে আমরা ঘটনা অবগত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন চেয়েছি।
মুনজুরুল ইসলাম/আরএইচ/জেআইএম