ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ক্যাম্পাস

শীতের শুরুতেই ঢাবিতে নৈশপ্রহরীদের শীতবস্ত্র উপহার দিলো ছাত্রশিবির

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১১:৫৭ এএম, ১৮ নভেম্বর ২০২৪

শীত মৌসুমের শুরুতেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নৈশপ্রহরী ও কর্মচারীদের শীতবস্ত্র উপহার দিয়েছে ইসলামী ছাত্রশিবির। রোববার (১৭ নভেম্বর) দিনগত রাত ১২টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাসে ঘুরে ঘুরে এ শীতবস্ত্র উপহার দেন।

শীতবস্ত্র উপহার কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন ঢাবি শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি আবু সাদিক কায়েম। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন সাহিত্য, সংস্কৃতি ও প্রকাশনা সম্পাদক নুরুল ইসলাম নূর, বিজ্ঞান ও ক্রীড়া সম্পাদক মো. ইকবাল হায়দার প্রমুখ।

সোমবার (১৮ নভেম্বর) সকালে নিজের ফেসবুকে শীতবস্ত্র বিতরণের কিছু ছবি শেয়ার করেছেন ঢাবি শিবির সভাপতি সাদিক কায়েম। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘শীতের আবহ শুরু হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এলাকায় যার প্রকোপ তুলনামূলক বেশি। বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার পক্ষ থেকে সব হল, ফ্যাকাল্টি, ইনস্টিটিউট, টিএসসি, কার্জন এলাকায় ক্যাম্পাসের নৈশপ্রহরীসহ কর্মচারীদের মধ্যে শীতবস্ত্র উপহার দিয়ে পাশে থাকার ন্যূনতম চেষ্টা।’

jagonews24

শীতের শুরুতেই ছাত্রশিবিরের এমন উদ্যোগকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন অনেকে। সাদিক কায়েমের ফেসবুক পোস্টের নিচে কমেন্ট করেও অনেকে বিভিন্ন পরামর্শও দিয়েছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের প্রভাষক আরিফুল ইসলাম লিখেছেন, ‘চমৎকার উদ্যোগ। হলে হলে পুরাতন কাপড়ও কালেক্ট করা যেতে পারে। সেগুলো ওয়াশ এবং আয়রন করে বিতরণ করলে ভালো হবে আশা করি।’

অনেকে আবার খোঁচা দিয়েও মন্তব্য করেছেন। নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এবং থিয়েটার অ্যান্ড পারফরমেন্স বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ফরিদ জামান লিখেছেন, ‘আত্মপ্রকাশ করেছো ঠিকাছে। সারা শীত পড়ে আছে, এখনই যদি দিয়ে দাও তাহলে সারা শীত তো ছাত্রলীগের দিকে তাকিয়ে থাকবে। বলবে ছাত্রলীগ ভালো ছিল।’

অবশ্য তার মন্তব্যের প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছেন অনেকে। আল মনসুর নামে এক শিক্ষার্থী ছাত্রলীগ নেতা ফরিদের কমেন্টের প্রতিউত্তরে লেখেন, ‘কেন কম্বল কি ওয়ান টাইম জিনিস নাকি? বরং এটিই উপযুক্ত সময় যে আপনি তার জন্য শীতের পূর্ব প্রস্তুতিতে সহায়ক হলেন।’

এএএইচ/এমআরএম