খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়
জমি অধিগ্রহণে ৭২ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলেন শিক্ষার্থীরা
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবিত ২০৩ একর জমি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে মৎস্য খামার ব্যবস্থাপকের কার্যালয় অধিগ্রহণে ৭২ ঘণ্টা সময় বেধে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে এই সময় বেধে দেওয়া হয়। শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী জহুরুল তানভীর, আয়মান আহাদ, সাজ্জাদ ইসলাম আজাদ।
তারা বলেন, বর্তমানে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় দেশে-বিদেশে অনেক সুনাম অর্জন করছে এবং আন্তর্জাতিকভাবে বিভিন্ন র্যাংঙ্কিয়ে স্থান পাচ্ছে। কিন্তু এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়তন অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় অনেক কম। বর্তমানে নতুন করে আর কোনো ভবন নির্মাণ করারও জায়গা নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাবগুলোর কোনো বসার জায়গা নেই। বহিরাগতরা এলে নিজেদের মনে হয় আমরাই বহিরাগত। নতুন ডিসিপ্লিনগুলোতে কোনো আদর্শ ক্লাসরুম ও চেয়ার-টেবিল নেই। অনেক ডিসিপ্লিনের গবেষণার জন্য পর্যাপ্ত ফিল্ড নেই। এমতাবস্থায় প্রস্তাবিত ২০৩ একর জমি অধিগ্রহণ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন আর সম্ভব না।
শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, সাতদিনের মধ্যে জমি অধিগ্রহণে আমরা খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষসহ অন্যান্য সব প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপ দেখতে চাই। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
এসময় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপস্থিত হয়ে ছাত্রবিষয়ক পরিচালক প্রফেসর ড. মো. নাজমুস সাদাত ভূমি অধিগ্রহণ বিষয়ে প্রশাসনের অবস্থান ও কার্যক্রম তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, বর্তমান প্রশাসন শিক্ষার্থীবান্ধব। ছাত্রদের যৌক্তিক দাবি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে প্রশাসনের কোনো বিরোধ নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. রেজাউল করিম ভূমি অধিগ্রহণসহ বিশ্ববিদ্যালয় সম্প্রসারণের জন্য ইতোমধ্যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন।
তিনি আরও বলেন, জমি অধিগ্রহণের ব্যাপারে খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এবং খুলনার বিভাগীয় কমিশনারের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে ২০২৬ সাল পর্যন্ত আমাদের ক্যাম্পাসের উত্তর-পশ্চিম অংশে সব ধরনের নতুন স্থাপনা নির্মাণের অনুমতি স্থগিত করার অনুরোধ করা হয়েছে। যেন অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে আমাদের জটিলতা কম হয়।
তিনি আরও বলেন, খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এ ব্যাপারে সম্মত হয়েছেন। এছাড়া ভূমি অধিগ্রহণের বিষয়ে আপডেটেড তথ্য দিয়ে খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ সহযোগিতা করতে চেয়েছেন।
আলমগীর হান্নান/জেডএইচ/জিকেএস