ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ক্যাম্পাস

রাবিতে পরীক্ষা না দিয়েই বিভাগে প্রথম হলেন শিক্ষার্থী!

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক | রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় | প্রকাশিত: ০৯:২৮ পিএম, ২০ অক্টোবর ২০২৪

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ইতিহাস বিভাগের তৃতীয় বর্ষের প্রথম সেমিস্টার চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ না নিয়েও বিভাগে প্রথম হয়েছেন এক নারী শিক্ষার্থী।

বুধবার (১৬ অক্টোবর) প্রকাশিত বিভাগের তৃতীয় বর্ষের প্রথম সেমিস্টারের রেজাল্ট শিটের তালিকা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

রোববার (২০ অক্টোবর) বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর আলোচনায় এসেছে। তবে এটিকে ‘অনিচ্ছাকৃত ভুল’ বলছেন পরীক্ষা কমিটির সংশ্লিষ্ট শিক্ষকেরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ২৬ মে ইতিহাস বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের তৃতীয় বর্ষ প্রথম সেমিস্টারের পরীক্ষা শুরু হয়। শেষ হয় ৬ জুন। ১৬ অক্টোবর ওই পরীক্ষার ফলাফল বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়। এতে দেখা যায়, সাদিয়া আফরোজ মারিয়া নামের এক শিক্ষার্থীর ফল সিজিপিএ-৩ দশমিক ৫০, যিনি পরীক্ষাতেই অংশ নেননি। প্রথমে বিষয়টি কেউ টের না পেলেও আজ দুপুরে বিষয়টি শিক্ষার্থীদের নজরে আসে।

জানা গেছে, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাদিয়া আফরোজ অন্তঃসত্ত্বা থাকায় দ্বিতীয় বর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টার পরীক্ষায় অংশ নেননি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাদিয়া আফরোজ বলেন, ‘আমার শারীরিক কন্ডিশন খারাপ থাকায় দ্বিতীয় বর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টার পরীক্ষায় অংশ নিতে পারিনি। কিন্তু আজ তৃতীয় বর্ষের প্রথম সেমিস্টারে পরীক্ষার ফলাফলে আমি প্রথম হয়েছি শুনে অবাক হয়েছি। যেখানে আমি ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের সঙ্গে দ্বিতীয় বর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টারে অধ্যয়নরত, সেখানে কীভাবে আমি তৃতীয় বর্ষের প্রথম সেমিস্টারে প্রথম হয়ে উত্তীর্ণ হই?’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের এক শিক্ষার্থী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, একজন শিক্ষার্থী পরীক্ষা না দিয়েই কীভাবে ফল পেতে পারেন? এ থেকে বোঝা যায়, পরীক্ষা কমিটির সদস্যরা যথাযথভাবে পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন না করে ইচ্ছামতো ফল তৈরি করেন। শিক্ষকদের এ ধরনের কর্মকাণ্ডের কারণে তারা অনেকেই প্রত্যাশিত ফল থেকে বঞ্চিত হন।

জানতে চাইলে পরীক্ষা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাশেম বলেন, ‘এটি একটি অনিচ্ছাকৃত ভুল। পরীক্ষা কমিটির তিনজন ট্যাবুলেটর (সদস্য) ছিলেন। মূলত তাদের গাফিলতির কারণেই ভুলটি হয়েছে। বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। এটি সংশোধনের জন্য আমরা কাজ শুরু করেছি।’

এ বিষয়ে জানতে ইতিহাস বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ফেরদৌসী খাতুনকে একাধিকবার কল ও হোয়াটসঅ্যাপে নক দিয়েও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

মনির হোসেন মাহিন/এসআর/জিকেএস