ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ক্যাম্পাস

সিভাসুতে উপাচার্য নিয়োগ আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৪:৫৭ পিএম, ০৭ অক্টোবর ২০২৪

চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিভাসু) কর্মরত অধ্যাপকদের মধ্য থেকে উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে দ্বিতীয়দিনের মতো অবরোধ পালন করছেন শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব সাধারণ শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং অ্যালামনাইরাও আজ সামনে থেকে কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন।

সোমবার (৭ অক্টোবর) তারা যৌথভাবে মানববন্ধন, বিক্ষোভ সমাবেশ ও টোটাল শাট ডাউন কর্মসূচি পালন করেন। এসব কর্মসূচির কারণে একেবারেই অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে ক্যাম্পাসে। বন্ধ রয়েছে ক্লাস-পরীক্ষাসহ প্রায় সব দাপ্তরিক কার্যক্রম।

কর্মসূচিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বলেন, ১৯৯৬ সালে প্রতিষ্ঠিত দেশের একমাত্র বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় সিভাসুর বয়স আজ ২৯ বছর। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাইরা অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়েছেন। অথচ জুলাই-আগস্টের বিপ্লবের পরে সিভাসুতে সকল বৈষম্য ও অপশক্তি দূর করে প্রতিষ্ঠানকে যখন ঢেলে সাজানো হচ্ছে, তখন সেই প্রক্রিয়া বানচাল করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে একটি চক্র। বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নতি ও অগ্রাযাত্রায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত, নেতৃত্ব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ সকল বিষয় সম্পর্কে পরিপূর্ণ ধারণা। এটি কেবল অভ্যন্তরীণ একজন শিক্ষকের পক্ষেই জানা সম্ভব।

সিভাসুর সহযোগী অধ্যাপক আমির হোসেন সৈকত বলেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বয়স ২৯ বছর। এ দীর্ঘ সময় শিক্ষার্থীরা দেশ-বিদেশে সুনামের সাথে কাজ করে যাচ্ছে। তবে গত কয়েকদিন যাবত আমাদের শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষকদের সম্মানে সিভাসু থেকে উপাচার্য নিয়োগের দাবি জানাচ্ছে এবং তাদের দাবির সাথে আমার পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।’

সিভাসুর সাবেক শিক্ষার্থী লিটন কুমার নাথ বলেন, ‘আমরা সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের দাবি একটাই এবং সেটা ‘লাউন্ড অ্যান্ড ক্লেয়ার’ আমরা সিভাসু থেকে উপাচার্য চাই। আমরা মনে করি, সিভাসুতে উপাচার্যের দায়িত্বভার সামলানোর জন্য অনেক যোগ্য অধ্যাপক আছেন। আমরা ওপর মহলে জানিয়ে দিতে চাই, আমাদের উপাচার্য সিভাসু থেকে দিতে হবে।’

ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে গত ১৫ সেপ্টেম্বর উপাচার্যের পদ থেকে পদত্যাগ করেন এ এস এম লুৎফুল আহসান। পরে ১৯ সেপ্টেম্বর সিভাসু থেকে উপাচার্য নিয়োগের আবেদন জানিয়ে চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনারের মাধ্যমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন শিক্ষার্থীরা। এরপর বাইরে থেকে উপাচার্য নিয়োগের খবর আসলে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। পরে রোববার থেকে মূল ফটক লাগোয়া জাকির হোসেন সড়কে বন্ধ করে ব্লকেড কর্মসূচি পালন করেন তারা।

এএজেড/এমআরএম/এমএস