ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ক্যাম্পাস

প্রসঙ্গ ছাত্র রাজনীতি

ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে ঢাবি প্রশাসনের বৈঠক

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় | প্রকাশিত: ০৮:২৯ পিএম, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি থাকবে কি না, থাকলেও তার রূপরেখা কেমন হতে পারে সেসব বিষয় নিয়ে ক্যাম্পাসে ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে দুই দফায় ১১টি সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক করে প্রশাসন। এসময় সংগঠনগুলো ছাত্র রাজনীতি নিয়ে তাদের চিন্তা ও দলীয় অবস্থান তুলে ধরেন।

১১টি সংগঠনের মধ্যে ছিল জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল, বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবির, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট (একাংশ), সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট (একাংশ), বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী, পাহাড়ী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ জাসদ, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন।

বৈঠকের ব্যাপারে গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি প্রজ্ঞা চৌধুরী জানান, বিশ্ববিদ্যালয় ৭৩’র যেই অর্ডিন্যান্স রয়েছে, সেখানে ডাকসুর বড় একটি ক্ষমতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের হাতে থাকে। যার কারণে ডাকসু ঠিকঠাক কাজ করতে পারে না। সে আইন থাকলে হয়তো ডাকসুকে মবিলেক্স করা কষ্টকর হবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমরা সে আইন থাকবে নাকি সংস্কার হবে সে বিষয়ে আলোচনা করেছি। আমাদের ডাকা হলে প্রথমে আমরা ভেবেছিলাম হয়তো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো একটা স্ট্রাকচার আমাদের উত্থাপন করবে। আমরা তার কাউন্টার স্ট্রাকচার উত্থাপন করবো। কিন্তু সে রকম কিছু হয়নি, দ্বিপাক্ষিক একটা আলোচনা হয়েছে। আর এটি ছিল আলোচনার প্রাথমিক সূত্রপাত। ভবিষ্যতে এ রকম আলোচনা আরও হতে পারে।

ছাত্রদল ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন জানান, ছাত্র সংগঠনগুলো কীভাবে প্রশাসনকে সহায়তা করতে পারে এবং প্রশাসন কীভাবে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে সে বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।

তিনি বলেন, আমরা আরও দাবি জানিয়েছি হলগুলোতে যেন আর কখনোই গণরুম গেস্ট রুম না হয়। এবং বিশ্ববিদ্যালয় শতভাগ আবাসন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নতুন ফল তৈরির পরিকল্পনা গ্রহণ করা এবং হল তৈরির ঘোষণা দেওয়া।

ডাকসু নির্বাচনের জন্য পরিষদের আহ্বান করার দাবি উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ডাকসু নির্বাচন আমাদের সবার দাবি। আমরা পরিবেশ পরিষদের সভা আহ্বানের মাধ্যমে ডাকসু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করে নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানিয়েছি।

সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সাংগঠনিক সম্পাদক মুজাম্মেল হক বলেন, আমরা ক্যাম্পাসে সন্ত্রাস-দখলদারত্ব বন্ধ করতে প্রথম বর্ষ থেকে প্রশাসনিক তত্ত্বাবধানে সিট বণ্টন এবং জোর করে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে নেওয়া বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছি। আমরা অবিলম্বে পরিবেশ পরিষদের মিটিং আহ্বান এবং ছাত্র সংসদ নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানিয়েছি।

ক্যাম্পাসে পুলিশি হামলার নির্দেশদাতা সিন্ডিকেট সদস্যদের এবং অতীতে গণহত্যার সঙ্গে জড়িত সংগঠনের সঙ্গে প্রশাসনের মিটিং ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান এবং গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষার পরিপন্থি বলে উল্লেখ করেছি। এই সিন্ডিকেট ভেঙে নতুন সিন্ডিকেট গঠনের দাবি জানিয়েছি। শত মানুষের শহিদী আত্মত্যাগের বিনিময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কার এবং গণতান্ত্রিক ক্যাম্পাস বিনির্মাণ ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিতের যে আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে তা রূপায়নে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আরও কার্যকরী ভূমিকা এবং সচেতন পদক্ষেপ নেবে বলেই আমরা প্রত্যাশা জানিয়েছি।

এমএইচএ/এমআইএইচএস/জেআইএম