ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ক্যাম্পাস

পার্বত্য চট্টগ্রামে অস্থিরতা: প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় | প্রকাশিত: ০৫:৫৪ পিএম, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

পার্বত্য চট্টগ্রামকে অস্থিতিশীল করতে সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপের হাতে নিরস্ত্র বাঙালি নাগরিক হত্যা, মসজিদে হামলা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট বন্ধ ও মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ছাত্র সমাজ।

শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মিনহাজ তৌকি বলেন, বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির সদর উপজেলার পানখাইয়াপাড়ায় চুরির অভিযোগ এনে মো. মামুন নামে স্থানীয় এক বাঙালি যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ৪/৫ উপজাতীয় নারী-পুরুষ চেপে ধরে হত্যা করছে মো. মামুনকে। কিন্তু পুলিশ এই ঘটনাকে দুর্ঘটনা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। এ ঘটনার বিচার চেয়ে বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ জানায় দীঘিনালা সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি লারমা স্কয়ারে পৌঁছার পর পাহাড়ের আঞ্চলিক উপজাতীয় সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপের সদস্যরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে শিক্ষার্থীদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

ঘটনার আরও বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, বেশ কয়েকটি ভিডিওতে দেখা যায়, সেনাবাহিনীর টহল দলের সামনে রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয় উপজাতি যুবকরা। এসময় সেনাবাহিনীকে জড়িয়ে নানান উসকানিমূলক বক্তব্যও দেয় তারা। তবে সব বাধা উপেক্ষা করে দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও বিজিবি।

তারা বলেন, এসব ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাতভর সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে বিভিন্ন আইডি থেকে একের পর এক গুজব ছড়িয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চালানো হয়। এসব আইডি ও পেজে বলা হয়, সেনাবাহিনী ও বাঙালিরা মিলে পাহাড়ে গণহত্যা চালাচ্ছে। এমনকি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নামের ফেসবুক পেজ থেকে পোস্ট করে বলা হয়, খাগড়াছড়ির দীঘিনালা-পানছড়িতে গণহত্যা চালানো হচ্ছে, ৬৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

সমাবেশ থেকে শিক্ষার্থীরা সাধারণ নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও সার্বভৌমত্ব সংরক্ষণে ৪ দফা দাবি পেশ করেন।

দাবিগুলো হলো:

১। পাবর্ত্য চট্টগ্রামে অবস্থানরত স্বশস্ত্র সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে।
২। পার্বত্য চট্টগ্রামে সকল প্রকার অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
৩। পার্বত্য চট্টগ্রামের নিরস্ত্র সাধারণ নাগরিকদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনীকে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে এবং নিরাপত্তা ঝুঁকিতে থাকা জায়গাগুলোতে সেনা ক্যাম্প বাড়াতে হবে এবং
৪। পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির অসাংবিধানিক ধারাগুলো বাতিল করতে হবে।

এমএইচএ/এমএইচআর/এমএস