ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ক্যাম্পাস

নয় মাস আগের থাপ্পড়ের প্রতিশোধ নিতে সিনিয়রকে মারধর

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক | ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় | প্রকাশিত: ১২:০৬ পিএম, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

নয় মাস আগে দেওয়া থাপ্পড়ের প্রতিশোধ নিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) সাবেক এক সিনিয়রকে জুনিয়র কর্তৃক মারধরের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাত নয়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের লালন শাহ হলে এ ঘটনা ঘটে।

মারধরের শিকার মিনহাজুল হক রুমন লোক লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। অভিযুক্ত এনামুল হক ইমন আইন বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

অভিযুক্ত ইমনের ভাষ্য, নয় মাস আগে রুমন তাকে থাপ্পড় মেরে কানের পর্দা ফাটিয়ে দিয়েছিল। সেসময় রুমন ছাত্রলীগের ছত্রছায়ায় থাকায় তিনি বিচার পাননি। আর তাই প্রতিশোধ নিতে রুমনকে মারধর করেছেন তিনি।

ইমন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে ক্যাম্পাসে পরিচিত।

জানা যায়, ছয় মাস আগে হল ছেড়ে দেন মিনহাজুল হক রুমন। খুলনায় এক কাজের উদ্দেশে রওনা দিয়ে তিনি দুইদিন আগে ক্যাম্পাসের হলে এসে অবস্থান করছিলেন। শনিবার রাতে ১০-১২ জনের একটি গ্রুপ হঠাৎ তার রুমে প্রবেশ করে। পরে তার রুমমেটদের আটকে রেখে রুমনকে মারধর করেন অভিযুক্তরা। এছাড়া রুমনকে রোববারের মধ্যে হল ছাড়ার হুমকি দিয়ে চলে যান।

এ ঘটনার পর রাত ১১টার দিকে রুমন তার সহপাঠী ও জুনিয়রদেরকে নিয়ে বঙ্গবন্ধু হলে ইমনের কক্ষে যান। সেখানে তাকে না পেয়ে তার কক্ষের তালা ভেঙে বিছানাপত্র বাইরে ফেলে দেন।

ভুক্তভোগী মিনহাজুল হক রুমন বলেন, তিনদিন আগে রাতে আমি ক্যাম্পাসে আসি। আমার খুলনা যাওয়ার কথা ছিল, সেই উদ্দেশ্যে ক্যাম্পাসে আসা। তবে হুট করে খুলনায় যাওয়া ক্যানসেল হওয়ায় কয়েকদিন এখানে থাকতে হচ্ছে। আমি আগে যে রুমে থাকতাম সেই রুমেই ছিলাম। রাতে ১০-১২ জন আমার রুমে আসে। তারা আমাকে হেনস্থা করেছে ও ক্যাম্পাস ছাড়ার হুমকি দিয়েছে। এমনকি গায়েও হাত তুলেছে।

অভিযুক্ত এনামুল হক ইমন বলেন, নয় মাস আগে আমাকে মেরে কানের পর্দা ফাটিয়ে দেয় রুমন ভাই৷ তবে সেসময় সে ছাত্রলীগের ছত্রছায়ায় থাকায় আমি বিচার পাইনি। ছাত্রলীগের সভাপতির রুমে আমাকে আর আমার বাবাকে ডেকে হ্যান্ডশেক করিয়ে মিটিয়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় আমি খুবই মর্মাহত হয়েছিলাম৷ এজন্য আমি আর আমার বন্ধুরা মিলে ভাইয়ের রুমে আজ কথা বলতে গিয়েছিলাম। আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করলে তাকে মারধর করি।

২০২৩ সালের ১৮ নভেম্বর ইমনকে মেরে কানের পর্দা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে রুমনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ক্ষতিপূরণ ও সুষ্ঠু বিচার দাবিতে ২৬ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও ছাত্র উপদেষ্টা বরাবর লিখিত অভিযোগপত্র দিয়েছিল ইমন। রুমন ক্যাম্পাসে থাকাকালীন ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এই অভিযোগের বিষয়টি তখন ছাত্রলীগের মধ্যস্থতায় মীমাংসা করা হয়। তবে ক্যাম্পাস ছাড়ার পর ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকে রুমন নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন বলে জানা গেছে।

মুনজুরুল ইসলাম/এফএ/এমএস