ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ক্যাম্পাস

অবিলম্বে ঢাবির ‘সত্যেন বোস পাঠাগার’ খুলে দেওয়ার দাবি

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় | প্রকাশিত: ০৫:৫৮ পিএম, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হামলায় ভাঙচুর ও লুটপাট হওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) জগন্নাথ হলের সত্যেন বোস পাঠাগার অবিলম্বে খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে একটি বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এমন দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।

সমাবেশে সত্যেন বোস পাঠাগারের সম্পাদক মোজাম্মেল হক বলেন, ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীদের পরিচালনায় ১৯৯০ সাল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক, প্রখ্যাত বিজ্ঞানী সত্যেন বোসের নামে ‘সত্যেন বোস পাঠাগার’ পরিচালিত হয়ে আসছে। পাঠাগারটি দীর্ঘদিন ধরেই বইপড়া কর্মসূচি, পাঠচক্র, আলোচনা সভা, সিনেমা প্রদর্শনী, মনীষী স্মরণ, শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ, বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানো, বুক স্টল দেওয়াসহ নানা ধরনের সামাজিক-সাংস্কৃতিক কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। যা শিক্ষার্থীদের মধ্যে গণতান্ত্রিক চেতনা তৈরিতে ভূমিকা পালন করেছে।

তিনি বলেন, সম্প্রতি ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান চলাকালে হল বন্ধ ঘোষণার সময় পাঠাগারটি প্রশাসন তালাবদ্ধ করে রাখে। ২ সেপ্টেম্বর রাতে পিংকর চৌধুরী রাতুল ও রাজদীপ চৌধুরী রানুর নেতৃত্বে ছাত্রলীগের কিছু কর্মী পাঠাগারটির তালা ভেঙে কিছু জিনিসপত্র নিয়ে যান। আমাকে ফোন করে হুমকি দেন, অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন এবং জগন্নাথ হলে গিয়ে তাদের সঙ্গে দেখা করতে চাপ দেন। এই পরিস্থিতিতে পাঠাগারের সঙ্গে যুক্ত জগন্নাথ হলের কয়েকজন শিক্ষার্থী তাদের সঙ্গে দেখা করতে গেলে তারা উত্তেজিত মব তৈরি করে তাদের লাঞ্চনা করেন এবং আটকে রেখে দীর্ঘসময় জেরা করার পাশাপাশি মারধরও করেন।

সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার রক্তাক্ত অভ্যুত্থান একটি বৈষম্যহীন, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তোলার আকাঙ্ক্ষাকে জাগ্রত করেছে। আমরা প্রত্যেকেই চাই, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অগণতান্ত্রিক এবং অসহিষ্ণু পরিবেশ তৈরি না হোক। জগন্নাথ হলে হামলা এবং লাঞ্ছনার সঙ্গে জড়িতদের বিচারের দাবি জানাচ্ছি। অতিসত্বর ক্যাম্পাসে চলমান সব অরাজকতার সমাধান চাই। অবিলম্বে সত্যেন বোস পাঠাগার খুলে দিতে হবে এবং হামলা ও লুটপাটে জড়িতদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

এমএইচএ/ইএ/জেআইএম