দুর্ঘটনার শিকার ত্রাণবাহী ট্রাক, গুরুতর আহত চবির দুই শিক্ষার্থী
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থীদের ত্রাণবাহী একটি গাড়ি দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় ১২ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর। আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) ভোরে মিরসরাইয়ের জোরারগঞ্জ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। গাড়িটি ত্রাণ নিয়ে নোয়াখালীর দিকে যাচ্ছিল।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বন্যার্তদের সাহায্যের জন্য গত দুদিন ধরে ত্রাণ বিতরণ কর্মসূচি পালন করে আসছেন পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থীরা। সোমবার (২৬ আগস্ট) দিনগত রাত ৩টার দিকে ট্রাকে করে তারা নোয়াখালীর সেনবাগের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। মিরসরাই পার হওয়ার পর জোরারগঞ্জ এলাকায় পৌঁছালে একটি গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লাগে ট্রাকের। এতে সামনের সিটে থাকা দুই শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হন। ট্রাকের সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়। গাড়িতে বিভাগের শিক্ষার্থীদের সংগৃহীত তৃতীয় দিনের ত্রাণ ছিল।
এ ঘটনায় গুরুতর আহত শিক্ষার্থীরা হলেন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ফাহিম আহমাদ পলাশ, একই শিক্ষাবর্ষের সাদমান হায়দার ও ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের কায়কোবাদ।
পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের আশিক সরকার বলেন, ত্রাণবাহী ট্রাক দুর্ঘটনায় তিনজন গুরুতর আহত হয়েছেন। বাকিরাও বিভিন্ন জায়গায় ব্যথা পেয়েছেন। সবাইকে চমেকে ফ্রি চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
আশিক আরও বলেন, পলাশের এক পায়ের জয়েন্ট ছুটে গেছে ও দুই পা ভেঙে গেছে। সাদমানেরও পায়ের হাড় ভেঙে গেছে। কায়কোবাদ মাথায় আঘাত পেয়েছেন।
একই বিভাগের আব্দুল্লাহ আবিদ তানভীর বলেন, ৫৩তম ব্যাচের কায়কোবাদের মাথায় আঘাত পেয়েছেন। এখন ভালো আছেন। ৪৯তম ব্যাচের পলাশের হিপ জয়েন্ট সরে গেছে। এটার অপারেশন হয়েছে। কিন্তু ভাঙা পায়ের অপারেশন ২-৩ দিন পর করতে হবে। অবস্থা এখনো আশঙ্কামুক্ত হয়নি। বাকিটা অপারেশনের পর জানা যাবে।
আহমেদ জুনাইদ/এসআর/এমএস