ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ক্যাম্পাস

আহসান উল্লাহর নিপীড়ক শিক্ষককে অপসারণের দাবিতে আল্টিমেটাম

প্রকাশিত: ০৮:৪৫ এএম, ৩০ এপ্রিল ২০১৬

যৌন নিপীড়ন ও শিক্ষার্থীদের হয়রানির অভিযোগে রাজধানীর তেজগাঁওস্থ আহসান উল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ত্রিপল-ই বিভাগের শিক্ষক মাহফুজুর রশিদ ফেরদৌসকে অপসারণের দাবিতে বিকেল ৩টা পর্যন্ত আল্টিমেটাম দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।

একই দাবিতে শিক্ষার্থীরা দুপুর দেড়টার দিকে লিখিতভাবে অপসারণের দাবি জানায়। বিকেল ৩টার মধ্যে দাবি মানা না হলে শিক্ষার্থীরা ফের আন্দোলনে যাবে বলে ঘোষণা দিয়েছে।

দাবি আদায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সকাল ১০টা থেকে ক্লাশ বর্জন করে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করে। শিক্ষার্থীরা জানান, ত্রিপল-ই বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর মাহফুজুর রশিদ ফেরদৌস বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টরের দায়িত্বেও রয়েছেন। তিনি প্রক্টরিয়াল ক্ষমতা ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। ছাত্রীদের নানাভাবে যৌন হয়রানি করেন। বিভাগের নিজের কক্ষে ডাকেন। না আসলে মার্কস কম দেয়ার হুমকিও দেন।

এর আগে তার পাতানো ফাঁদে পড়ে একই বিভাগের শিক্ষককে অগত্যা চলে যেতে হয়েছে। তারাও বলেছেন তিনি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ ও যৌন হয়রানির সঙ্গে যুক্ত।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন,  ওই শিক্ষক সম্প্রতি একই বিভাগের এক ছাত্রীকে ট্রেজারারের কক্ষে জোর করে কেন অভিযোগ করা হয়েছে সে ব্যাপারে জানতে চান। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে শিক্ষার্থীরা গত সপ্তাহে লিখিতভাবে বিভাগীয় চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ করেন। কিন্তু অভিযোগের প্রেক্ষিতে কোনো ধরনের ব্যবস্থা না নেয়ায় আজ শনিবার সকাল থেকে আন্দোলনে নামে তারা।

ত্রিপল-ই বিভাগের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষার্থীরা জানান, বিকেল ৩টা পর্যন্ত আল্টিমেটাম দেয়া হয়েছে। লিখিতভাবে জানানোও হয়েছে। এর মধ্যে ওই শিক্ষককে এখান থেকে অপসারণ করার লিখিত সিদ্ধান্ত আমরা দাবি করেছি। নইলে ক্লাশ বর্জন করে আন্দোলন চলবে।

এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) এএমএম সাইফুল্লাহ জাগো নিউজকে বলেন, শিক্ষার্থীরা আমাকে এর আগে বিষয়টি জানায়নি। ঘটনা এক সপ্তাহ আগের। আজ শিক্ষার্থীরা আমাকে বিষয়টি লিখিত ভাবে জানিয়েছে। একাডেমিক ও প্রশাসনিক সবার সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
 
তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রশিদ জানান, বিশ্ববিদ্যালয়টির ত্রিপল-ই বিভাগের শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগে বিক্ষোভ করছে শিক্ষার্থীরা। এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তবে যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্খিত ঘটনা নিয়নন্ত্রণে ক্যাম্পাসের বাইরে পুলিশ অবস্থান নিয়েছে বলেও জানান তিনি।

জেইউ/এমএস

আরও পড়ুন