একদফা দাবিতে রাজশাহীর বিক্ষোভ সমাবেশ
সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের দ্বিতীয় দিনে সারাদেশের সঙ্গে সমন্বয় করে স্বৈরাচার সরকার পদত্যাগের একদফা দাবিতে রাজশাহী নগরীর তালাইমারি এলাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ করছে শিক্ষার্থীরা। এসময় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রুয়েট, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ও নগরীর বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা ছাড়াও বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের জনগণ আন্দোলনে অংশ নিয়েছে।
সোমবার (০৫ আগস্ট) বেলা ১১টায় রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে সব শিক্ষার্থী সমবেত হোন। পরে তালাইমারি এলাকায় অবস্থান নিয়ে
বিক্ষোভ সমাবেশ করেন তারা। এতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও রুয়েটের শিক্ষকরাসহ অনেক অভিভাবক একাত্মতা পোষণ করে এ বিক্ষোভ সমাবেশে যোগ দেন।
এ বিষয়ে সমন্বয়করা জানান, বিজয় খুবই সন্নিকটে। আমাদের অসংখ্য ভাই আজ লং মার্চ টু ঢাকার উদ্দেশ্য রওয়ানা হয়েছে। ইতোমধ্যে তারা সেখানে পৌঁছেও গেছে। আজকে ঢাকায় ছাত্র সমাজের জনস্রোতে ঢাকার সকল অন্যায় মুছে যাবে। শেখ হাসিনার গদি ছাড়া এখন আর কোনো অপশন নেই। আজকের মধ্যেই স্বৈরাচার সরকারের পদত্যাগ নিশ্চিত করেই আমার ভাইয়েরা ঢাকা থেকে ফিরবে।
রাজশাহী কলেজের শিক্ষার্থী কনক হোসেন বলেন, কালকে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে আওয়ামী লীগ ও তাদের অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা আমার ভাইদের উপর অতর্কিত গুলি করে। এতে অনেক ভাই শহীদ হয়েছেন। একটি স্বাধীন দেশে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের হাতে একদিনে দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী মৃত্যুর ঘটনা হয়তো বিশ্বে এ প্রথম। আমরা বিজয়ের খুব দ্বারপ্রান্তে আছি। এ বিজয় ছাত্র সমাজের, এ বিজয় আবু সাঈদ ও মুগ্ধ ভাইয়ের বিজয়। আর কত জীবন তাদের লাগবে। আমরা প্রস্তুত রয়েছি জীবন দিতে তবুও স্বৈরাচার সরকারের পদত্যাগ করে ঘরে ফিরবো।
আন্দোলনে অংশ নেওয়া রাজশাহী মেডিকেল কলেজের নারী শিক্ষার্থী ফাহিম আক্তার বলেন, কালকে সারারাত ঘুমাতে পারিনি। এতো লাশের গন্ধে কিভাবে ঘুম আসে। আমার ভাই, আমার সহপাঠী যৌক্তিক অধিকারের জন্য জীবন দিচ্ছে। একজন ছাত্র হিসেবে রাষ্ট্রের সব অনিয়মের বিরুদ্ধে কথা বলার জন্যই শিক্ষার্থীরা এগিয়ে আসে। আমাদের দাবি একটাই স্বৈরাচার সরকারের পদত্যাগ।
মনির হোসেন মাহিন/এএইচ/এমএস