ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ক্যাম্পাস

ক্যাম্পাস ছাড়লেন বাকৃবি শিক্ষার্থীরা, হল সিলগালা

জেলা প্রতিনিধি | ময়মনসিংহ | প্রকাশিত: ০৬:৪৭ পিএম, ১৮ জুলাই ২০২৪

অবশেষে ক্যাম্পাস ছাড়লেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষার্থীরা। হল ত্যাগের পর সবকটি হল সিলগালা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আজহারুল ইসলাম বলেন, হল থেকে ছাত্রদের চলে যেতে বলা হয়েছে। প্রায় সব হল থেকে ছাত্ররা সরে গেছেন। পরে হলগুলো সিলগালা করা হয়েছে।

এর আগে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ও শিক্ষার্থীদের বাধ্যতামূলক হল ত্যাগের নির্দেশনা দিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) প্রশাসন। ওই নির্দেশনা বাতিলের দাবিতে ১৭ জুলাই (বুধবার) প্রায় ৫ ঘণ্টা ধরে আন্দোলন করেন শিক্ষার্থীরা।

পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কাছে হলে থাকার আশ্বাস পেলে আন্দোলন থামান তারা। তবে গভীর রাত থেকে হল ছাড়তে শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এমনকি বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) ভোর ৪টা থেকে হল ছাড়ার উদ্দেশ্যে ব্যাগপত্র হাতে বের হতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের।

বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থীকে হল ছাড়ার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান, আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরেছি বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার মধ্যে হল না ছাড়লে হলে পুলিশ ঢুকিয়ে শিক্ষার্থীদের বের করা হবে। এদিকে সারাদেশে শাটডাউন কর্মসূচি চলছে। একারণে শাটডাউন শুরু হওয়ার আগে হল থেকে চলে যাচ্ছি আমরা।

ক্যাম্পাস ছাড়লেন বাকৃবি শিক্ষার্থীরা, হল সিলগালা

সরেজমিনে দেখা যায়, দুপুর ১২টার দিকে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি হলে মাইকিং করে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগ করার জন্য বলা হয়। পরে প্রতিটি হলে পুলিশ গিয়ে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগ করার কথা বলেন। শেষমেশ হল ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। এরপর হলের প্রতিটি কক্ষ সিলগালা করে দেওয়া হয়।

প্রক্টরের আশ্বাসের পরেও হল ছাড়ার বিষয়ে এক শিক্ষার্থী বলেন, রাতে প্রক্টরের দেওয়া আশ্বাস নিয়ে নিশ্চিন্ত ছিলাম। আজ আবার শুনলাম যে হল বাধ্যতামূলক ছাড়তে হবে। আমার বাড়ি চট্টগ্রাম। এখন আমি ট্রেন কিংবা বাস কিছুই পাবো না। পাশাপাশি চলছে শাটডাউন। আমি এখন নিরুপায়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এমদাদুল হক চৌধুরী বলেন, এ পরিস্থিতিতে আপাতত কাউকেই হলে থাকার অনুমতি দেওয়া যাবে না। সবাইকে হল ত্যাগ করতে হবে। তবে শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে দ্রুততম সময়ের মধ্যে হল খুলে দেওয়ার চেষ্টা করব আমরা। কিন্তু এখন সবাইকে যেতে হবে। পরিস্থিতি যে কোনো সময় নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে।

বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. অলিউল্লাহ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে হল বন্ধের তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উদ্ভূত পরিস্থিতি বিবেচনায় বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষা কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে ১৮ জুলাই দুপুর ১২টার মধ্যে সব শিক্ষার্থীকে আবাসিক হল ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়।

মঞ্জুরুল ইসলাম/আরএইচ/এএসএম