ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ক্যাম্পাস

কোটা সংস্কারের দাবিতে বুয়েট শিক্ষার্থীদের নীরব প্রতিবাদ

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় | প্রকাশিত: ০২:০২ পিএম, ০৯ জুলাই ২০২৪

সরকারি চাকরিতে কোটার যৌক্তিক সংস্কারের দাবিতে সারাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের আন্দোলনের পর এবার নীরব প্রতিবাদ জানিয়ে মৌন মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (৯ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টায় বুয়েট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে দশ মিনিট নীরবে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ জানান তারা।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীদের হাতে ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায়-বৈষম্যর ঠাঁই নাই’, ‘মেধাই হবে যোগ্যতা-ধ্বংস হবে কোটাপ্রথা’, ‘ঘরে ঘরে খবর দে-কোটাপ্রথার কবর দে’, ‘আমার কোন ব্রেইন নাই-তাই আমি কোটা চাই’, ‘যদি হয় কোটার জয়-মেধার হবে পরাজয়’, ‘কোয়ালিফাইড নট কোটাফাইড’- ইত্যাদি লেখা সম্বলিত প্লেকার্ড দেখা যায়।

নীরব মানববন্ধনে কোন বক্তব্য না দিলেও একটি লিখিত বক্তব্য সাংবাদিকদের দেন শিক্ষার্থীরা। লিখিত বক্তব্যে শিক্ষার্থীরা তাদের অবস্থান পরিষ্কার করেন। তারা বলেন, বর্তমান সময়ে এসে অধিকাংশ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার স্বচ্ছল জীবন-যাপন করছে। তাদের পরিবারের নাতি-নাতনিদের পূর্বের অনগ্রসর পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হয়নি। এক্ষেত্রে অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের কথা বিবেচনা করে তাদের সুবিধার্থে এবং মেধার স্বার্থে পূর্বের কোটা পদ্ধতি সংস্কার করা বাধ্যতামূলক।

শিক্ষার্থীরা বলেন, দেশ নারী শিক্ষায় ও যোগ্যতায় অনেক দূর এগিয়ে গেছে। এমতাবস্থায় ১০ শতাংশ নারী কোটা বজায় রাখা আত্মমর্যাদাশীল নারীদের প্রতি অসম্মানজনক। তাই নারী কোটাও সংস্কার করা উচিত। বর্তমানে টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট ব্যবস্থা সারাবিশ্বকে হাতের মুঠোয় এনে দিয়েছে। সেক্ষেত্রে প্রত্যন্ত জেলা বলতে কার্যত কিছু থাকছে না। তাই এখানেও ১০ শতাংশ কোটা রাখা ভিত্তিহীন। কোটা সংস্কারের পর বিভিন্ন কোটায় উপযুক্ত ও ন্যূনতম যোগ্যতা সম্পন্ন কাউকে না পাওয়া গেলে সে জায়গাগুলোতে মেধার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিয়োগ বাস্তবায়ন করা আবশ্যক।

কোটা সংস্কারের দাবিতে বুয়েট শিক্ষার্থীদের নীরব প্রতিবাদ

তারা আরও বলেন, একটি বিশেষ কোটাকে যাতে কোনো ব্যক্তি তার জীবনের ধাপে ধাপে সুবিধা ভোগের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে না পারে সেজন্য প্রশাসনের সঠিক অবকাঠামো গঠন করার আবশ্যক। কালের বিবর্তনে বাংলাদেশ এখন স্মার্ট আধুনিক বাংলাদেশ গড়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তার মানে মেধা ও মননের দিক থেকে দেশ অনেকাংশে এগিয়ে গেছে। যার ফলে আগামীর বাংলাদেশের কাণ্ডারি হবে দেশের মেধাবীরা। সেজন্য মেধার সর্বাত্মক সুযোগ বজায় রাখা কাম্য।

শিক্ষার্থীরা লিখিত কোটা সংস্কারের দাবি জানিয়ে বলেন, দেশের সর্বস্তরে কোটা সংস্কার বিষয়ক যেসব আন্দোলন হচ্ছে তা অত্যন্ত যৌক্তিক। আমরা বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা কোটা সংস্কার আন্দোলনের সঙ্গে সর্বাত্মকভাবে একাত্মতা ও সংহতি প্রকাশ করছি এবং মহামান্য আদালতের প্রতি মেধার মূল্যায়নকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবির পক্ষে অতি দ্রুত রায় প্রদান করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।

এমএইচএ/এসআইটি/জেআইএম