প্রত্যয় স্কিম বাতিল দাবি
ঢাবি কর্মচারী ঐক্য পরিষদের বিক্ষোভ-সমাবেশ চলছেই
সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চারটি সংগঠনের জোট ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ’ এর ব্যানারে পরিচালিত হচ্ছে তাদের এই কর্মসূচি।
সোমবার (৮ জুলাই) সকাল থেকেই আন্দোলনের অংশ হিসেবে স্বাভাবিক কাজকর্মে যোগ দেননি পরিষদের নেতাকর্মীরা। দুদিন বিরতি দিয়ে ধারাবাহিক কর্মবিরতির আজ ষষ্ঠ দিন। কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নিতে সকাল ১০টা থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে জড়ো হন তারা।
এরপর সেখানে এক ঘণ্টা ধরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। এরপর বেলা ১১টায় তারা একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করেন। এ সময় তারা ‘দুনিয়ার মজদুর-এক হও লড়াই করো’, ‘কেউ খাবে কেউ খাবে না-তা হবে না তা হবে না’, ‘এক দেশে দুই নীতি-চলতে দেওয়া হবে না’, ‘দিয়েছি তো রক্ত-আরও দেবো রক্ত’, ‘লড়াই লড়াই লড়াই চাই-লড়াই করে বাঁচতে চাই’, ‘প্রত্যয় স্কিম-বাতিল করো করতে হবে’ এ ধরনের স্লোগান দিতে থাকেন।
আরও পড়ুন:
- চতুর্থ দিনের মতো কর্মবিরতিতে ঢাবি কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ
- অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাখ্যা প্রত্যাখ্যান আন্দোলনরত শিক্ষকদের
- শিক্ষকদের সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে স্থবির বেরোবি
বিক্ষোভ সমাবেশে ঐক্য পরিষদের নেতারা বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের দাবি বাস্তবায়ন না হয়। আমরা ঘরে ফিরে যাবো না। অনেকেই বলছেন, অনেক অফিসে জোর করে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আটকে রাখা হচ্ছে। আমরা এই বিষয়টির তীব্র নিন্দা জানাই। সংশ্লিষ্টদের বলতে চাই, আজ আমরা যেমন পেটের তাগিদে এখানে এসে দাঁড়িয়েছি। আপনাদেরও দায়িত্ব রয়েছে, এই প্রত্যয় স্কিম বাদ দেওয়ার দাবিতে একাত্ম হন।
তারা আরও বলেন, আমাদের এ আন্দোলন পেটের তাগিদে আন্দোলন। এই প্রত্যয় স্কিম আপনাদেরও ছাড় দেবে না। সুতরাং আমাদের আন্দোলনে আসুন, একাত্মতা পোষণ করুন। আমাদের সভা ও বিক্ষোভে অংশ নিন। আপনারা কি বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্য না? আপনারা কি বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সঙ্গে নেই? যদি থাকেনই তাহলে এখনো কেন আন্দোলনে আসছেন না? সরকারকে বলে দিতে চাই, আমাদের দাবি না মানলে আমরা কাজকর্মে ফিরে যাবো না।
এমএইচএ/এসএনআর/জিকেএস