ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ক্যাম্পাস

কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে বেরোবি শিক্ষার্থীদের পদযাত্রা

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক | বেরোবি | প্রকাশিত: ০৩:৩৯ পিএম, ০৩ জুলাই ২০২৪

প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহাল নিয়ে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে পদযাত্রা ও ছাত্র সমাবেশ করেছেন রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (৩ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল মিডিয়া চত্বরে পদযাত্রা শুরু হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পার্কের মোড় সংলগ্ন ১ নম্বর গেটের সামনে এসে সমাবেশে মিলিত হয়।

এসময় শিক্ষার্থীরা ‘কোটা প্রথা মানি না মানবো না’, ‘কোটা প্রথা বাতিল করো, করতে হবে’, ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, বঙ্গবন্ধুর বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই’সহ কোটা পুনর্বহালের বিপক্ষে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।

সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী সুমন বলেন, ‘আমাদের ওপর হাইকোর্ট যে রায় চাপিয়ে দিয়েছেন আমরা তা মানি না। যারা কোটাধারী মেধাবী পরিচয় দিতে চান, তাদের বলতে চাই এই পরিচয় খুবই লজ্জার। কোনো বৈষম্যহীন রাষ্ট্রে ৫৬ শতাংশ কোটা থাকতে পারে না। তীব্র আন্দোলনের মুখে সরকার যেখানে কোটা পদ্ধতি বাতিল করেছিল, হাইকোর্ট কেন সেই কোটাকে আবার পুনর্বহাল করলো আমরা জানি না।’

তিনি আরও বলেন, ‘সরকারের সিদ্ধান্তকে হাইকোর্ট বাতিল করেছে। আমরা চাইবো সরকারের পক্ষ থেকে যেন আপিল বিভাগে আপিল করা হয়। নয়তো আন্দোলন চলবে। আমরা রাজপথ ছাড়বো না।’

কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে বেরোবি শিক্ষার্থীদের পদযাত্রা

অপূর্ব নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘২০১৮ সালে আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার সেসময় কোটা পদ্ধতি বাতিল করে। কিন্তু আজ হাইকোর্ট সেই কোটা পুনর্বহাল করেছেন। আমরা হাইকোর্টের রায়কে প্রত্যাখ্যান করছি।’

প্রসঙ্গত, দেশজুড়ে শিক্ষার্থীদের তুমুল আন্দোলনের মুখে ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর সরকারি চাকরিতে নারী কোটা ১০ শতাংশ, মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০ শতাংশ এবং জেলা কোটা ১০ শতাংশ বাতিল করে পরিপত্র জারি করে সরকার। সেখানে বলা হয়েছিল, ৯ম থেকে ১৩তম গ্রেডের পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে হবে। ওইসব গ্রেডের পদে সরাসরি নিয়োগে বিদ্যমান কোটা বাতিল করা হলো।

পরে পরিপত্র চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম কমান্ড কাউন্সিলের সভাপতি অহিদুল ইসলামসহ সাত শিক্ষার্থী। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ৫ জুন পরিপত্রটিকে অবৈধ বলে ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। এরপর থেকেই ফুঁসে উঠেছেন শিক্ষার্থীরা।

এসআর/জিকেএস