ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ক্যাম্পাস

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়

সনদ জালিয়াতি করে পদোন্নতি, সেই কর্মকর্তার তথ্য জানতে চায় দুদক

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক | বেরোবি | প্রকাশিত: ০৯:৪৫ পিএম, ০৪ জুন ২০২৪

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার খন্দকার গোলাম মোস্তফার সনদ জালিয়াতির মাধ্যমে পদোন্নতির অভিযোগের বিষয়ে জানতে চেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সোমবার (৩ জুন) এ সংক্রান্ত একটি চিঠি প্রকাশ পেলে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়। দুদকের বরাত দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন গত ২৩ মে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর চিঠিটি পাঠিয়েছে। চিঠিতে ১০ কর্মদিবসের মধ্যে এ বিষয়ে তথ্য-উপাত্তসহ লিখিত বক্তব্য পাঠানোর জন্য বলা হয়।

ইউজিসির উপ-পরিচালক গোলাম দস্তগীর স্বাক্ষরিত পত্রে উল্লেখ করা হয়, খন্দকার গোলাম মোস্তফার উত্থাপিত অভিযোগের দালিলিক প্রমাণসহ দফাওয়ারী লিখিত বক্তব্য ইতিপূর্বে চাওয়া হয়। কিন্তু অদ্যবধি কোনো তথ্যাদি দেওয়া হয়নি।

অভিযোগ রয়েছে, উপ-রেজিস্ট্রার হিসেবে পদোন্নতির মাত্র দুই বছরের মাথায় তার অভিজ্ঞতা ও নিয়োগপত্র জাল করে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে আপগ্রেডেশনের মাধ্যমে অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার পদে (৪র্থ গ্রেড) পদোন্নতি নেন।

এ বিষয়ে গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা খন্দকার গোলাম মোস্তফার বিরুদ্ধে সনদ জালিয়াতিসহ কিছু বিষয়ে রেজিস্ট্রার বরাবর অভিযোগ করেন।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরির পূর্বে খন্দকার গোলাম মোস্তফা যেসব প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন, সেই প্রতিষ্ঠানে চাকরির ধারাবাহিকতা নেই, বরং ব্রেক অব সার্ভিস রয়েছে। কিন্তু অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার পদে পদোন্নতির সময় তিনি ওভার রাইটিং করে অভিজ্ঞতা সনদ নকল করে চাকুরির ধারাবাহিকতা দেখিয়েছেন।

জানা যায়, খন্দকার গোলাম মোস্তফা ২০১০ সালের ২ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার পদে অ্যাডহক (৬ মাস) ভিত্তিতে যোগদান করেন। ২০১৪ সালে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির আলোকে আবেদন করে তিনি ওই পদে ১৫ মে ২০১৪ তারিখে নিয়োগ পান। ২০১৭ সালের ১৪ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর হিসেবে প্রফেসর ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহের যোগদানের এক মাস পর ১৬ জুলাই ২০১৭ তারিখে তিনি সহকারী রেজিস্ট্রার পদ (৬ষ্ঠ গ্রেড) হতে আপগ্রেডেশনের মাধ্যমে উপ-রেজিস্ট্রার পদে (৫ম গ্রেড) পদোন্নতি পান।

অভিযুক্ত কর্মকর্তা খন্দকার গোলাম মোস্তফা জাগো নিউজকে বলেন, আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করেছি। সে অনুযায়ী আমাকে অভিজ্ঞতার সনদ দেওয়া হয়েছে। বোর্ড তৈরি হয়েছে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে আমার নিয়োগ হয়েছে। এখানে আমি জালিয়াতির কিছু দেখি না।

এদিকে গত ২৮ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মজিব উদ্দিন আহমদকে আহ্বায়ক, জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা বিভাগের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আলী কে সদস্য ও কাউন্সিলর শাখার উপ-রেজিস্টার ময়নুল আজাদকে সদস্য সচিব করে তথ্য অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়।

এ কমিটির একজন সদস্য জানান, তথ্য অনুসন্ধানের বিষয়ে সার্বিক প্রতিবেদন মঙ্গলবার (৪ জুন) জমা দেওয়া হয়েছে।

এর আগে অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মো. শরীফুল ইসলামকে আহবায়ক করে ২০২৩ সালের ১৭ ডিসেম্বর তিন সদস্যের আরেকটি তথ্যানুসন্ধান কমিটি করে প্রশাসন।

কমিটির সদস্য-সচিব সৈয়দ আনোয়ারুল আজিম জাগো নিউজকে বলেন,বিষয়টি তদন্তাধীন আছে। এ বিষয়ে আমি আর কোনো মন্তব্য করতে চাই না।

এনআইবি/জেআইএম