ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ক্যাম্পাস

ঢাবিতে ‘চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক’ বিষয়ক বৈঠক

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় | প্রকাশিত: ০৯:৪২ এএম, ২১ মে ২০২৪

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) গবেষণাধর্মী প্রতিষ্ঠান ‘সেন্টার ফর ইস্ট এশিয়া ফাউন্ডেশন (সিয়াফ)’ বাংলাদেশের আয়োজনে ‘চীন বাংলাদেশ সম্পর্ক’ বিষয়ক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (২০ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ফারুক কনফারেন্স হলে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনার মূল বিষয় ছিল ‘চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক এবং বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগ’ (বিআরআই)।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল মঈন। সভাপতিত্ব করেন সিয়াফ চেয়ারম্যান অ্যাম্বাসেডর মাহবুব-উজ-জামান। বৈঠকে গণচীনের প্রসিদ্ধ থিংক ট্যাংক সাংহাই একাডেমি অফ সোশ্যাল সাইন্সের উচ্চ পর্যায়ের চারজন সদস্য অংশগ্রহণ করেন।

বৈঠকে ড. মঈন বলেন, উন্নয়ন সহযোগিতা চীনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। অবকাঠামোগত ক্ষেত্রে চীন বাংলাদেশের একটি বড় উন্নয়ন সহযোগী। চীন সেতু, রাস্তা, রেলপথ, বিমানবন্দর, বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করেছে বাংলাদেশে। এ উন্নয়ন অংশীদারত্বের উদ্যোগ চীনকে বাংলাদেশে তার ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে সাহায্য করেছে। বন্ধুত্ব, উন্নয়ন সহযোগিতা ও বাংলাদেশের সাথে কৌশলগত সম্পর্ক উন্নয়নের প্রশ্নে চীন সবসময়ই দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

সভাপতির বক্তব্যে সিয়াফ চেয়ারম্যান অ্যাম্বাসেডর মাহবুব উজ জামান বলেন, বিআরআই দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জন্য অনুকূল উন্নয়ন পরিবেশ তৈরি করেছে। এ উদ্যোগ অবকাঠামো উন্নয়ন, সরাসরি বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্টকরণ, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, আঞ্চলিক ও বৈদেশিক সম্পর্ক বহুমুখীকরণ এবং জনগণের সাথে জনগণের সাংস্কৃতিক সম্পর্ককে উৎসাহিত করেছে।

সিয়াফ নির্বাহী পরিচালক নাসিম মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ ও চীন সময়ের পরীক্ষিত বন্ধু ও কৌশলগত নির্ভরশীল সহযোগী অংশীদার।

এছাড়াও আলোচনা পর্বে অংশগ্রহণ করেন অধ্যাপক ড. রকীবুল হক, ব্যারিস্টার মাসুদুর রহমান, ড. ফাহমিদা মুস্তাফিজ, মাজেদুল হক এবং চীনের প্রতিনিধি। সফররত উচ্চ পর্যায়ের চীনা প্রতিনিধি দল অনুষ্ঠানটি আয়োজনের জন্য সিয়াফকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান এবং ভবিষ্যতে পারস্পরিক ও বহুমুখী সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দেন। অনুষ্ঠানে কূটনীতিক, শিক্ষাবিদ, সাবেক রাষ্ট্রদূত ও বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

এমএইচএ/এমআরএম/জেআইএম