শেকৃবিতে নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ
রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান কর্মচারী নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) থেকে অনাপত্তিপত্র ছাড়ায় এক অর্থবছরের নিয়োগ অন্য অর্থবছরে দেওয়া, লিখিত পরীক্ষায় যথাযথ সতর্কতা না দিয়ে প্রক্সি দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
দায়িত্বরত শিক্ষকরা জানিয়েছেন, চলমান নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ৯ম গ্রেড থেকে ২০তম গ্রেডের বিভিন্ন পদের জন্য মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে প্রার্থী বাছাই করা হলেও অফিস সহায়ক পদে (২০তম গ্রেড) লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়। কিন্তু লিখিত পরীক্ষার প্রবেশপত্রে শনাক্তকরণের জন্য প্রার্থীর কোনো ছবি ছিল না। প্রার্থীদের স্বাক্ষর ও লিখিত পরীক্ষার খাতায় হল পরিদর্শকের স্বাক্ষর গ্রহণ করা হয়নি।
লিখিত পরীক্ষায় হল পরিদর্শকের দায়িত্বে থাকা এক শিক্ষক জানান, লিখিত পরীক্ষার উত্তর মূল্যয়নপত্রে কোনো স্বাক্ষর নেওয়া হয়নি। খাতায় প্রার্থী উপস্থিত আছে কি না নিশ্চিত করার জন্য রেজিস্ট্রশন নম্বর সংবলিত পত্রে স্বাক্ষর নেওয়ার ব্যবস্থা থাকা উচিত ছিল। পরে উপাচার্য পরীক্ষা কেন্দ্রে আসলে তাকে বিষয়টি জানানো হয়।
রেজিস্ট্রার দপ্তর সূত্রে জানা যায়, গত ২৬ এপ্রিল অফিস সহায়ক পদে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। অফিস সহায়ক মোট পদপ্রার্থী ছিল ১ হাজার ২৮৪ জন। পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে ৪৯৪ জন এবং লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে ১৫০ জন। গত ২ মে লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। ফলাফল অনুযায়ী মৌখিক পরীক্ষা জন্য ১৫০ জনকে চূড়ান্ত করা হয়েছে।
অফিস সহায়ক পদে লিখিত পরীক্ষা স্বচ্ছতার বিষয়ে জানতে চাইলে ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান বলেন, স্বচ্ছতা তো পরের বিষয় উপাচার্য এককভাবে প্রশ্ন প্রণয়ন করতে পারেন যদি নিয়োগ বোর্ডের সবাই মিলে তাকে দায়িত্ব দেয়। বোর্ডের অনুমতি ছাড়া তিনি এটা করতে পারেন না।
এ বিষয়ে শেকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া বলেন, প্রায় ১৩শ’ শিক্ষার্থী আবেদন করায় এতজনের ভাইভা নেওয়া সময় সাপেক্ষ্য বিধায় আমরা একটা লিখিত পরীক্ষার ব্যবস্থা করি। তবে এক্ষেত্রে কারো অসদুপায় অবলম্বন করার তথ্য পায়নি। তবে কেউ অসদুপায় অবলম্বন করলেও ভাইভা বোর্ডে সে উত্তীর্ণ হতে পারবে না।
তাসনিম আহমেদ তানিম/এমআরএম/জিকেএস