ইবির প্রথম বাস সংরক্ষণের দাবি শিক্ষার্থীদের
দীর্ঘদিন অকেজো অবস্থায় পড়ে রয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) পরিবহন পুলে যুক্ত হওয়া প্রথম বাস (কুষ্টিয়া চ ০০১)। মেরামত করে বাসটি সচল করা হলেও লাভজনক হবে না বলে নিলামে বিক্রির বিষয়ে ভাবছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে বিক্রির পরিবর্তে বাসটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্য হিসেবে প্রধান ফটকের সামনে ভাস্কর্যের মত করে সংরক্ষণের দাবি জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
এ নিয়ে মঙ্গলবার (১৪ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর ৩০০ সাধারণ শিক্ষার্থীর গণস্বাক্ষর সম্বলিত একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। দুপুর ১২টায় উপাচার্যের পক্ষ থেকে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া স্মারকলিপিটি গ্রহণ করেন।
স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বাসটি অনেকদিন আগে থেকে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। আমরা যতদূর জানি, বাসটি নিলামে বিক্রি করা হবে। কিন্তু এ বাসটির সঙ্গে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস জড়িয়ে রয়েছে। এ ধরনের ঐতিহ্য সংরক্ষণ আমরা বিভিন্ন স্থানে দেখতে পাই। তাই এ বাসটি যদি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল গেটের পাশে ভাস্কর্যের মত করে স্থাপন করা হয় তাহলে এটি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি নতুন স্থাপনা হিসেবে যুক্ত হবে। প্রথম বাস হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে থেকে যাবে বাসটি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, বাসটি সংরক্ষণ করা হলে সেটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা স্মৃতি হয়ে থাকবে। তবে পুরাতন বাস নিলামে দেওয়া হলে রেফারেন্সে ইউজিসি থেকে নতুন বাস পাওয়া যাবে। এক্ষেত্রে সংরক্ষণ করলে আমরা নতুন বাস পাবো না। এখন বিষয়টি প্রশাসন সিদ্ধান্ত নিবে।
কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহনগুলোতে শিক্ষার্থীদের চাপ বাড়ছে। এতে করে পরিবহন পুলে যুক্ত করতে নতুন বাস কেনা জরুরি হয়ে উঠেছে। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব বাস অচল হয়ে যায় সেগুলো একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সরকারের কাছে হস্তান্তর করলে নতুন বাস কেনার অনুমতি পাওয়া যায়। আমরা যদি এটিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপনা হিসেবে রেখে দিই তাহলে এ বাসটির বিনিময়ে নতুন বাস পাবো না। সেক্ষেত্রে আমাদের পরিবহন পুলে একটি বাস কম থাকবে।
তিনি আরও বলেন, বাসটিকে স্থাপনা হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ে রাখতে চাইলে এটার জন্য জায়গা বরাদ্দ ও সংরক্ষণ করারও একটি বিষয় থাকে। তবে শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপিটি হাতে পেয়েছি। এটি শীঘ্রই উপাচার্যের কাছে হস্তান্তর করা হবে। পরে আলোচনা করে এ বিষয়ে তিনি সিদ্ধান্ত নিবেন।
মুনজুরুল ইসলাম/আরএইচ/এএসএম