বাসে যবিপ্রবি ছাত্রীর শ্লীলতাহানি, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) এক ছাত্রীর সঙ্গে বাসে শ্লীলতাহানির ঘটনায় সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা। সোমবার (১৩ মে) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে যবিপ্রবির প্রধান ফটকের সামনে তারা অবস্থান নেয়। এরপর সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন। বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করে রাখেন তারা।
পাঁচ ঘণ্টা চলমান অবরোধ কর্মসূচি পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য জড়িতদের শাস্তির আশ্বাস দিলে আন্দোলনকারীরা অবরোধ প্রত্যাহার করে নেন।
বিশ্ববিদ্যালয় ও আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১২ মে যশোর থেকে চৌগাছাগামী লোকাল বাসে করে ব্শ্বিবিদ্যালয়ে ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ে আসছিলেন। বাসটিতে চুড়ামনকাটি থেকে মাসুদ নামের এক যুবক উঠেন। বাসে উঠে যুবকটি ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর পাশে দাঁড়ান।
এক পর্যায়ে যুবকটি ওই শিক্ষার্থীর গায়ে হাত দেয়। নিষেধ করার পরও মাসুদ হাত না সরালে ওই শিক্ষার্থীর আশপাশের যাত্রীরা মীমাংসার চেষ্টা করে। পরে মাসুদের নামে ঘটনার দিন প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ জানান ওই শিক্ষার্থী।
এ নিয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করার জন্য প্রশাসনিক ভবনে অবস্থান করলে এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এসে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডক্টর মো. আনোয়ার হোসেন উপস্থিত হয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপরাধীকে গ্রেফতারের আশ্বাস দিলে আন্দোলনকারীরা কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেয়। ঘটনার ২৪ ঘণ্টা অতিক্রম হলেও অপরাধী গ্রেফতার না হওয়ায় সোমবার দুপুর থেকে আবারও বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।
এরপর সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি ও পুলিশ প্রশাসন একাধিকবার কথা বলে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীরা ৬ দফা দাবি তুলেন। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন ঢাকা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে শিক্ষার্থীদের বিচারের আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা কর্মসূচি তুলে নেন।
এসময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, শাটল বাস দেওয়ার সক্ষমতা এ মুহূর্তে আমাদের নেই। তবে অভিযুক্ত যেখানেই থাকুক তাকে গ্রেফতার করা হবে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের অন্যান্য দাবিগুলোর জন্য যশোর চৌগাছা বাস মালিক সমিতির সঙ্গে আমরা কথা বলে ব্যবস্থা করবো।
এ বিষয়ে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরান বলেন, অভিযুক্তকে আটকের জন্য পুলিশ কাজ করছে।
মিলন রহমান/আরএইচ/এএসএম