ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ক্যাম্পাস

‘শিক্ষক নাদির জুনাইদকে শাস্তি না দিয়ে রক্ষার চেষ্টা করা হচ্ছে’

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় | প্রকাশিত: ০৩:৫৮ পিএম, ০৬ মে ২০২৪

যৌন হয়রানির দায়ে অভিযুক্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক নাদির জুনাইদকে শাস্তি না দিয়ে রক্ষার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বিভাগের শিক্ষার্থীরা। সোমবার (৬ মে) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের সামনে ‘ন্যায় বিচার’ না হওয়ার শঙ্কা ও নাদির জুনাইদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা। এতে বিভাগটির সব ব্যাচের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিভাগটির ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী রাফিজ খান। তিনি বলেন, বিশেষ কোনো মহল বিষয়টি ধামাচাপা দিয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত করার চেষ্টা করছে। অভিযুক্ত শিক্ষককে বাঁচিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে।

লিখিত বক্তব্যে রাফিজ বলেন, ৩ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় অধ্যাপক নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে ওঠা যৌন হয়রানির অভিযোগ যাচাইয়ের জন্য একটি তথ্যানুসন্ধান কমিটি এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মাস্টার্স ব্যাচের ফলাফল ধসিয়ে দেওয়ার অভিযোগে অন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়। যৌন হয়রানির অভিযোগ তদন্তকারী কমিটিকে দু’সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়। কিন্তু দু’মাস অতিক্রান্ত হয়েছে। এখন পর্যন্ত তদন্তের কোনো অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। সাম্প্রতিক সময়ে দেশের অন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে একই ধরনের অপরাধে অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে তড়িৎ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তা করতে পারেনি। ফলে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের নিপীড়নবিরোধী শিক্ষার্থীরা তদন্ত প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত করার মাধ্যমে ন্যায়বিচার না পাওয়ার আশঙ্কা করছে।

আরও পড়ুন

জানা গেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে বিভাগের এক নারী শিক্ষার্থী চলতি বছরের গত ১০ ফেব্রুয়ারি যৌন হয়রানি ও মানসিক নিপীড়নের অভিযোগ এনে প্রক্টরের কাছে ন্যায়বিচারের আবেদন করেন। পরবর্তীতে রাজধানীর একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীও ‘যৌন হয়রানির’ জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। এর প্রেক্ষিতে তার শাস্তির দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করেন।

হাসান আলী/এমআইএইচএস/এমএস