ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ক্যাম্পাস

সর্বজনীন পেনশন

বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবি ঢাবিতে

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় | প্রকাশিত: ০৩:০৮ পিএম, ০৬ মে ২০২৪

অর্থ মন্ত্রণালয় জারি করা পেনশন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনকে বৈষম্যমূলক দাবি করে এটি বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কর্মচারী ঐক্য পরিষদ।

সোমবার (৬ মে) বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের সামনে ভিসি চত্বরে কর্মচারীদের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধন কর্মসূচিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক ও কর্মচারী সমিতির সভাপতি শেখ মোহাম্মদ সরোয়ার মোর্শেদ বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা একটি বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সব স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা এবং তাদের অধীনস্থ অঙ্গ প্রতিষ্ঠানসমূহের চাকরিতে যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী, তারা যে নামেই অভিহিত হোক না কেন, ১ জুলাই ও তৎপরবর্তী সময়ে যোগদান করলে, তাদের সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনার আওতাভুক্ত’ করবে উল্লেখ আছে। হঠাৎ করেই এমন একটি প্রজ্ঞাপন জারির ফলে সারাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের মধ্যে চরম হতাশা ও অসন্তুষ্টি সৃষ্টি হয়েছে।

তিনি বলেন, এ প্রজ্ঞাপন কার্যকর হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কর্মচারী চরম বৈষম্যের শিকার হবেন। একই বেতন স্কেলের আওতাধীন কর্মচারীদের জন্য ভিন্ননীতি সংবিধানের মূল চেতনার সঙ্গেও সাংঘর্ষিক। এছাড়া বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়সহ গবেষণা প্রতিষ্ঠানসমূহকে স্বায়ত্তশাসন দিয়ে শিক্ষা ও গবেষণাকে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছিলেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিম্ন বেতনভুক্ত কর্মচারীদের ন্যায্য দাবি আদায়ের সমর্থন করতে গিয়ে ১৯৪৯ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার হন ও কারাবরণ করেন।

আরও পড়ুন

এছাড়া কর্মচারীদের প্রতি এই বৈষম্যমূলক পদক্ষেপের ফলে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার উন্নত রাষ্ট্র গঠনের স্বপ্ন বাস্তবায়ন ব্যাহত হবে। কেননা, এর ফলে যোগ্য ও দক্ষ জনবল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে চাকরি করতে আগ্রহী হবেন না।

কর্মচারী নেতারা আরও বলেন, এ প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত কর্মচারীদের সরকারের মুখোমুখি দাঁড় করানোর দুরভিসন্ধি রয়েছে কি না সেটা ভেবে দেখা দরকার। যে মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টানা চতুর্থবার মতো ক্ষমতায় এসে উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণের অবশিষ্ট কাজ সম্পন্ন করার প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বস্তরের কর্মচারী সমাজও তার উন্নয়ন যাত্রায় বিপুল উৎসাহ নিয়ে পেশাগত দায়িত্ব পালনে অঙ্গীকারবদ্ধ রয়েছেন, ঠিক সেই মুহূর্তে বিদ্যমান সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে আমাদের আন্দোলনের পথে ঠেলে দেওয়ার পুরোনো কৌশল শুরু হয়েছে বলে আমরা মনে করি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বস্তরের কর্মচারী অনতিবিলম্বে এই প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী সমাজের মধ্যে সৃষ্ট হতাশা ও অসন্তুষ্টি লাঘবের এবং নবম জাতীয় বেতন স্কেলের দাবি জানাচ্ছে।

মানববন্ধনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ঐক্য পরিষদের সদস্য সচিব ও চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. মোবারক হোসেনসহ বিভিন্ন হল, বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের পাঁচ শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।

হাসান আলী/এমআরএম/এএসএম