ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ক্যাম্পাস

জবির সহকারী প্রক্টর থেকে দ্বীন ইসলামকে অব্যাহতি

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০১:০০ এএম, ১৬ মার্চ ২০২৪

শিক্ষক-সহপাঠীকে অভিযোগ করে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষককে অব্যাহতি দিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। অব্যাহতি পাওয়া শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন।

তিনি বলেন, আমরা বিষয়টি জেনেছি। ছাত্রী তার মৃত্যুর জন্য দায়ী হিসেবে আমাদের প্রক্টরিয়াল টিমের একজন সদস্যের নাম উল্লেখ করেছে। উপাচার্য সাময়িকভাবে তাকে অব্যাহতি দেওয়ার মৌখিক নির্দেশনা দিয়েছেন। আইনগত প্রক্রিয়ায় তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এস এম মাসুম বিল্লাহকে আহ্বায়ক ও ডেপুটি রেজিস্ট্রার হিমাদ্রী শেখরকে সদস্য সচিব করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সদস্যরা হলেন, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. শাহজাহান, সংগীত বিভাগের চেয়ারম্যান ড. ঝুমুর আহমেদ, জবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক জাকির হোসেন।

আরও পড়ুন: শিক্ষক-সহপাঠীকে অভিযোগ করে জবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম বলেন, মেয়েটাকে দেখি এক থেকে দেড় বছর আগে। তারা কয়েকজন সহপাঠী প্রক্টর অফিসে আসে। সে সময় তৎকালীন প্রক্টর মোস্তফা কামাল স্যার, আমিসহ আরও কয়েকজন সহকারী প্রক্টর অফিসে ছিল। মেয়েটা ফেক আইডি ব্যবহার করে তার বন্ধুদের এসএমএস দিত। এটা নিয়ে থানায় জিডি হয়েছে। আমাদের জানানো হয়। পরে মেয়েটা স্বীকার করে।

তিনি বলেন, এরপর তার পরিবারের লোকজন অনুরোধ করে জিডি তুলে নেওয়ার জন্য। তখন প্রক্টরিয়াল টিম মিটিং করে সিদ্ধান্ত নেয়, তিনমাস পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। কোনো ঝামেলা না হলে জিডি তুলে নেওয়া হবে। আমি কখনো মেয়েটার সঙ্গে একা কথা বলিনি। সিসিটিভি ফুটেজ বা প্রক্টর অফিসে লিখিত অভিযোগ দেখলেও বোঝা যাবে। আপনারা ঘটনা তদন্ত করে দেখুন। আমি দোষী হলে শাস্তি দিন। কিন্তু আগেই আমাতে দোষী বানাবেন না দয়া করে। না হলে আমারও সুইসাইড করা লাগবে।

জানা গেছে, মৃত ছাত্রী ফাইরুজ অবন্তিকা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাত ১০টার দিকে প্রথমে ফেসবুকে পোস্ট দেন ফাইরুজ। এরপর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। পরে তাকে তাৎক্ষণিক উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান, তিনি মারা গেছেন।

আরএএস/এমআরএম