ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ক্যাম্পাস

দুই বছরেও আলোর মুখ দেখেনি শেকৃবির গ্রিন হাউজ

তাসনিম আহমেদ তানিম | প্রকাশিত: ০৫:৩৫ পিএম, ১৩ মার্চ ২০২৪

১২ কোটি ১০ লাখ ৪৯ হাজার টাকা ব্যয়ে গ্রিনহাউজ তৈরির উদ্যোগ নেয় রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি)। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে কাজটি দেওয়া হয় একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে। একই বছরের ডিসেম্বরে এর কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। অথচ দুই বছর পার হলেও এখন পর্যন্ত কাজ শেষ করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এছাড়া চাহিদাপত্রের মান অনুযায়ী নির্মাণ কাজ হয়নি বলেও অভিযোগ রয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ করতে সময় বেধে দেওয়া হয়েছিল প্রতিষ্ঠানটিকে। নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতে ব্যর্থ হলে সময় বাড়িয়ে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়। বর্ধিত সময়ের মধ্যেও কাজ শেষ করতে না পারায় আবারও বাড়ানো হয় সময়। সেসময় বাদ দেওয়া হয় অপ্রয়োজনীয় এবং টেন্ডারের ডাবল যন্ত্রপাতি। পরে রিভাইসড টেন্ডারে ব্যয় ঠিক করা হয় প্রায় ১০ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। এতে প্রায় দেড় কোটি টাকা সরকারি কোষাগারে ফেরত যাচ্ছে বলে জানা গেছে। এদিকে গ্রিন হাউজের ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতির মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠেছে।

দুই বছরেও আলোর মুখ দেখেনি শেকৃবির গ্রিন হাউজ

অভিযোগ রয়েছে, কার্যাদেশপ্রাপ্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কোনো পূর্ব অভিজ্ঞতা নেই গ্রিনহাউজ নির্মাণের। দায়িত্বরত প্রকল্পের ইঞ্জিনিয়ারও বিষয়টি স্বীকার করেন। তবে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের চাহিদা অনুযায়ী গ্রিনহাউজ নির্মাণ করে দেবেন বলে জানান।

সরেজমিনে দেখা যায়, গ্রিনহাউজ নির্মাণে পলিকার্বনেটেড দেওয়ালে প্রাথমিকভাবে নিম্নমানের এক্সিস্টর ফ্যান এবং লাইট লাগানো হয়। পরবর্তীতে টেকনিক্যাল কমিটির বিরোধিতায় তা পরিবর্তন করা হয়। এছাড়া গ্রিনহাউজের পলিকার্বনেটেড দেওয়ালে ৮ মিমির শিট ব্যবহারের কথা থাকলেও তা অপেক্ষা পাতলা শিট ব্যবহার করা হয়েছে। এখনো গ্রিনহাউজের কার্বন ডাই অক্সাইড প্রোডাকশন এবং কন্ট্রোল ইউনিট ইন্সটল করা হয়নি। এছাড়া চালু হয়নি অটোমেশন সিস্টেম।

গ্রিনহাউজ নির্মাণবিষয়ক বিশেষজ্ঞ কমিটির এক সদস্য বলেন, যে স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী এটি হওয়ার কথা ছিল, সে অনুযায়ী হয়নি। পলিকার্বনেড শেডটিও মানসম্মত নয়। যারা কাজটি করছে, সরাসরি গ্রিনহাউজ তৈরির অভিজ্ঞতা থাকলে এ জটিলতা হতো না।

নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না হওয়ার কারণ জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা, উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. মিজানুল হক কাজল বলেন, করোনা পরবর্তী সময় ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে যন্ত্রপাতি আসায় বিলম্ব হয়েছে। তবে এখন কোনো শিক্ষক চাইলে আমরা গ্রিনহাউজ ব্যবহারের ব্যবস্থা করে দিতে পারবো। আশা করছি আগামী এক মাসের মধ্যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান থেকে সম্পূর্ণ বুঝে পাবো গ্রিনহাউজ।

তাসনিম আহমেদ তানিম/জেডএইচ/জিকেএস