কিবরিয়া ছাপচিত্র প্রদর্শনীতে রবীন্দ্র মৈত্রীর চারুকলার ৩০ ছবি
রাজধানীর লালমাটিয়ায় কলাকেন্দ্রে চলছে ৯ দিনব্যাপী ১২তম কিবরিয়া ছাপচিত্র প্রদর্শনী। শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়। প্রদর্শনী চলবে আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। প্রতিদিন বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এ প্রদর্শনী সবার জন্য উন্মুক্ত। দেশি-বিদেশি দর্শনার্থী ও ছাপচিত্রপ্রেমীরা এ প্রদর্শনীতে আসছেন।
‘সুলভ মূল্যে ছাপচিত্র, সবার জন্য ছাপচিত্র’ স্লোগানকে ধারণ করে এবারের প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছে মোট ১৯টি প্রতিষ্ঠান। এরমধ্যে রয়েছে ভারতের একটি কলেজও। প্রদর্শিত হচ্ছে পাঁচ শতাধিক ছবি।
এদিকে, কিবরিয়া ছাপচিত্র প্রদর্শনীতে প্রথমবারের মতো অংশ নিয়েছে কুষ্টিয়ার রবীন্দ্র মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগ। প্রদর্শনীতে বেসরকারি এ বিশ্ববিদ্যালয়টির ১৩ জন শিক্ষার্থীর আঁকা ৩০টি ছবি স্থান পেয়েছে। বিভাগটির দুজন শিক্ষকের কিছু ছবিও প্রদর্শিত হচ্ছে।
জানতে চাইলে রবীন্দ্র মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের প্রভাষক প্রদীপ সাহা বলেন, ২০২২ সালের ১২ জানুয়ারি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে চারুকলা বিভাগের যাত্রা শুরু। ইউজিসির অনুমোদন নিয়েই বিভাগটি চালু করা হয়। বর্তমানে দুই ব্যাচের শিক্ষার্থীরা বিভাগে অধ্যয়নরত। তাদের মধ্যে ১৩ জনের ছবি প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে। ভবিষ্যতে আরও বেশি ছবি নিয়ে প্রদর্শনীতে অংশ নিতে পারবো বলে আশা করছি।
তিনি বলেন, এখানে শিক্ষার্থীদের আঁকা ছবিগুলোর মধ্য থেকে পছন্দ করে দর্শনার্থীরা অনেকে কিনছেন। আমাদের তিনজন শিক্ষার্থীর ছবি বিক্রিও হয়েছে। যদিও সেগুলোর দাম খুব বেশি নয়। তবে এটা শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করে। বাকি দিনগুলোতে অন্যদের ছবিও দর্শনার্থীরা নিতে পারে। এতে আরও বেশি ছবি আঁকার প্রতি অনুপ্রাণিত হবে শিক্ষার্থীরা।
বাংলাদেশের আধুনিক চিত্রকলা আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ শিল্পী মোহাম্মদ কিবরিয়া। ১৯২৯ সালের ১ জানুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের বীরভূমে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫০ সালে তিনি কলকাতা সরকারি আর্ট ইনস্টিটিউট থেকে চারুকলায় স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষা সমাপন এবং ১৯৫৬-৬২ সালে জাপানের টোকিও থেকে চিত্রকলায় উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণ করেন।
তিনি একুশে পদক, স্বাধীনতা পুরস্কার, জাপানের সংস্কৃতিমন্ত্রীর পুরস্কারসহ বহু পুরস্কার লাভ করেন। ২০০৮ সালে তাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের প্রফেসর ইমেরিটাস হিসেবে মনোনীত করা হয়। ২০১১ সালের ৭ জুন প্রখ্যাত এ চিত্রশিল্পী মারা যান। তার স্মরণে এক যুগ ধরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে কিবরিয়া ছাপচিত্র প্রদর্শনী।
এএএইচ/এমএইচআর