শিক্ষাক্রম নিয়ে আলোচনা
অনুমতি দিয়ে ৩০ মিনিট আগে বাতিল, পরে অপরাজেয় বাংলায় সমাবেশ
জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০২১ নিয়ে বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুর আড়াইটায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্কের ‘আমরা কেন উদ্ধিগ্ন’ শিরোনামে একটি আলোচনা সভার আয়োজন ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর সি মজুমদার মিলনায়তনে। অনুষ্ঠান শুরুর ৩০ মিনিট আগে সেটির বরাদ্দ বাতিল করেন মিলনায়তনের দায়িত্বে থাকা কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক আবদুল বাছির।
অনুষ্ঠানের ভেন্যু বাতিলের বিষয়ে তাৎক্ষণিক অধ্যাপক বাছিরের কাছে জানতে চেয়ে মোবাইলফোনে কল করা হলে তিনি সাড়া দেননি। তিন ঘণ্টা পর তিনি ফোন করলে তার কাছে ভেন্যু বাতিলের কথা জিজ্ঞেস করলে তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমাদের এখানে কোনো অনুষ্ঠানের জন্য বরাদ্দ দিতে কিছু নীতিমালা আছে। সে নীতিমালায় সরকার ও রাষ্ট্রবিরোধী, সাম্প্রদায়িকতার পক্ষে ও ধর্ম অবমাননা হয় এমন কোনো অনুষ্ঠান করলে আমরা তাদের বরাদ্দ দেই না। সে কারণে তাদের বরাদ্দ বাতিল করা হয়েছে।’
মিলনায়তনটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ড. তানজিম উদ্দিন খানের নামে বরাদ্দ দেওয়া হয়। তিনি বলেন, ‘জাতীয় শিক্ষাক্রম নিয়ে আলোচনা সভার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকচার থিয়েটার ভবনের অডিটোরিয়ামটি আমাদের বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শুরুর আধা ঘণ্টা আগে আমাকে কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আব্দুল বাছির ফোন দেন।
তিনি বলেন, ‘এ ভেন্যুতে আমাদের দেওয়া বুকিং বাতিল করা হয়েছে। আমরা যেন প্রোগ্রামটি না করি। সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ তিনি আমাকে বলেননি। তবে বলেছেন, এক জায়গা থেকে তিনি ফোন পেয়েছেন। ওই জায়গার পক্ষ থেকে নাকি বলা হয়েছে, আমাদের যেন স্পেসটি ব্যবহার করতে না দেন। এরপর তিনি আমাকে বলেন, যেহেতু ফোন এসেছে সেহেতু ঝামেলা হতে পারে। আপনাদের অনুরোধ করবো আপনারা যেন প্রোগ্রাম না করেন।’
অনুষ্ঠান বাতিলের বিষয়ে অধ্যাপক বাছিরের উত্তরে অধ্যাপক তানজিম বলেন, ‘আমরা ভেন্যু বরাদ্দের আবেদনেই প্রোগ্রামের বিষয়বস্তু উল্লেখ করেছিলাম। যখন তিনি অনুমোদন দিয়েছিলেন তখন তিনি দেখেই অনুমোদন দিয়েছেন। এখন বলছেন অন্য বক্তব্যের কথা। আর আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে যে কোনো বিষয়ে আমরা প্রশ্ন তুলতে পারি, সমালোচনা করতে পারি। শিক্ষক হিসেবে এ শিক্ষা কার্যক্রম নিয়ে কথা বলা আমাদের অধিকার, দায়িত্ব।’
আর সি মজুমদার মিলনায়তনে অনুষ্ঠান করতে না দেওয়ার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে সমাবেশ করেন তারা।
আল সাদী ভূঁইয়া/এমআইএইচএস/এমএস