প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা
ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে এক ছাত্রলীগ নেতা নিহতের পর অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির সকল ক্যাম্পাস। মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) সন্ধ্যায় একাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
সন্ধ্যার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. অনুপম সেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
এর আগে দুপুর দেড়টার দিকে প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের দামপাড়া ক্যাম্পাসে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে সোহেল আহমেদ (২৪) নামে এক ছাত্রলীগ নেতার নিহত হন।
নিহত সোহেল আহমেদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং মহানগর ছাত্রলীগের সদস্য। তিনি কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার দয়াপুর গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে। এ ঘটনায় আহত আরো দুজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে
চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তারা হলেন, মো. ইমতিয়াজ ও রনি চন্দ্র শীল।
এদিকে শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনাকে কেন্দ্র করে নগরীর প্রবর্ত্তক মোড়ে সড়ক অবরোধ করেছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা সড়কের পাশে থাকা দোকানপাট ও যানবাহনে ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়েছে। স্পটগুলোতে এখনো সংঘর্ষ চলছে।
ছাত্রলীগ কর্মীদের অবরোধে রাস্তার চারপাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। নিউমার্কেট থেকে মুরাদপুর, চকবাজার থেকে ২ নম্বর গেট, পাঁচলাইশ থেকে জিইসি ও নিউমার্কেটগামী শত শত গাড়ি আটকা পরেছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকা ঘিরে কয়েকশ’ বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসা নিতে আসা হাজার হাজার রোগী ও তাদের স্বজনরা।
তবে অবরোধকারীরা বলছেন, তাদের নেতা নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন না আসা পর্যন্ত তারা রাস্তা ছেড়ে যাবেন না।
সূত্র জানায়, মঙ্গলবার প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের দামপাড়া ক্যাম্পাসে বিবিএ’র ৩১তম ব্যাচের ফ্রেশার্স প্রোগ্রাম উপলক্ষে মহড়া ছিল। এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মহিউদ্দিন চৌধুরী না সিটি মেয়র আ জ ম
নাছির উদ্দিন হবেন তা নিয়ে বিরোধ চলছিল।
এ নিয়ে দুপুর দেড়টার দিকে নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী এম ই এস কলেজ ছাত্রলীগ নেতা ওয়াসিম গ্রুপের কর্মীদের সঙ্গে নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন সমর্থিত
ছাত্রলীগ কর্মীদের কথা কাটাকাটি হয়। এসময় দু’পক্ষের সংঘর্ষে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে সোহেল আহমেদসহ আরো দুই শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হন। পরে তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সোহেলকে
মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে চকবাজার থানার ওসি আজিজ আহমেদ বলেন, ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কাজ করছে। অভিযান চালিয়ে এ পর্যন্ত চারজনকে আটক করা হয়েছে।’
জীবন মুছা/এসএইচএস/এবিএস