পড়াশোনা শেষ, হল ছাড়তে বলায় গেটে তালা দিলেন ছাত্রলীগ নেত্রী
অবৈধভাবে নিজের দখলে রাখা সিট ছাড়ার নির্দেশ দেওয়ায় হল গেটে তালা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) রহমাতুন্নেসা হল ছাত্রলীগের সভাপতি তামান্না আক্তার তন্নির বিরুদ্ধে। এতে ভোগান্তিতে পড়েন হলের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা এসে গেটের তালা খুলে দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক হাসনা হেনা বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে তার (তামান্না আক্তার) একাডেমিক পড়ালেখা শেষ। তারপরও সে হলে সিট ধরে রেখেছে। এমনকি কক্ষের আলাদা একটি সিটেও কাউকে উঠতে দেয় না। অথচ অনেক গরিব, মেধাবী শিক্ষার্থী হলে সিট পাচ্ছে না। তাকে বিষয়টি একাধিকবার বলা হলেও সেটা মানেনি। সে পদের বলে হলে থাকতে চায়। ওই ছাত্রী বলে সে এমফিল করবে কিন্তু এখানে এমফিল শিক্ষার্থীর জন্য কোনো সিট নেই।’
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, তামান্না আক্তার বিশ্ববিদ্যালয়ের চিত্রকলা, প্রাচ্যকলা ও ছাপচিত্র বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী এবং হল ছাত্রলীগের সভাপতি। তিনি রহমতুন্নেসা হলের ৪৫৯ নম্বর কক্ষে থাকেন। ছয় মাস আগে তার একাডেমিক পড়াশোনা শেষ হয়েছে। ফলে তার সিটে অন্য ছাত্রীকে বরাদ্দ দিয়েছে হল প্রশাসন। তবে সিট ছাড়তে রাজি নন তামান্না। এ নিয়ে একাধিকবার তাকে নোটিশ করেছে হল প্রশাসন। সবশেষ বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে তাকে সিট ছাড়ার নির্দেশ দেন প্রাধ্যক্ষ। কিন্তু সেই নির্দেশ অমান্য করে উল্টো হল গেটে তালা দেন তামান্না আক্তার। এসময় অন্যান্য হল ছাত্রলীগের নেতা-নেত্রীরা উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে তামান্না আক্তার তন্নি বলেন, ‘আমি হল ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্বে আছি। বিভিন্ন প্রয়োজনে ছাত্রীরা আমার কক্ষে আসে। তাই প্রাধ্যক্ষই একটি সিট ফাঁকা রাখতে বলেছিলেন। এখন তিনি ছাত্রলীগকে বিতর্কিত করতে এসব করছেন।’
হলে এমফিল শিক্ষার্থীদের থাকার সুযোগ না থাকলেও সিটে ধরে রাখার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি হলে রাজনীতি করি। এ হলে না থাকলে কর্মীদের কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করবো। তাই সংগঠনকে গতিশীল রাখতে এ সিটে থাকার কথা বহুবার প্রাধ্যক্ষকে জানিয়েছি।’
মনির হোসেন মাহিন/এসআর/এএসএম