রাবির ৩ শিক্ষার্থীর উদ্যোগ
ক্যাম্পাসে শিঙাড়া-চপের দোকান, মাসে দুই লাখ টাকার বিক্রি
লেখাপড়ার পাশাপাশি ক্যাম্পাসে নাগা মরিচের শিঙাড়া আর চপ বিক্রি করে সাড়া ফেলেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের তিন শিক্ষার্থী। মাসে দুই লাখ টাকার বেশি বেচাকেনা তাদের। এর সুনাম এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরিয়েছে। দামে কম ও মানে ভালো হওয়ায় বিভিন্ন জায়গা থেকে ভিড় জমাচ্ছেন ভোজনরসিকরা।
শিঙাড়ার সঙ্গে ছোট ছোট বাটিতে সরিষা, টমেটো ও তেঁতুলের তিন পদের টক আর কাঁচা নাগা মরিচের স্বাদ নিতে আগে থেকেই টোকেন কেটে অপেক্ষা করতে হয় এ খাবারের জন্য। প্রতিপিস শিঙাড়ার দাম তিন টাকা। আর নাগা মরিচের চপ পাঁচ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাত্র একমাসেই জমে উঠেছে বেচাকেনা। সকাল থেকে শুরু করে চলে রাত ১০টা পর্যন্ত।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের তিন শিক্ষার্থী এর উদ্যোক্তা। পড়াশোনার পাশাপাশি পালা করে এ কাজ করছেন তারা। প্রতিদিন প্রায় আট হাজার টাকার মতো বেচাকেনা হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী পলি আক্তার। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘দামে কম মানেও খুব ভালো খাবারটি। সবচেয়ে ভালো লেগেছে তারা শিঙাড়ার সঙ্গে তিন পদের চাটনি দিয়েছে।’
ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের তারিফুল ইসলাম বলেন, ‘বর্তমানে ৩ টাকা পিস শিঙাড়া পাওয়া যায় না বললেই চলে। আকারে ছোট হলেও স্বাদটা কিন্তু দারুণ। খবর পেয়েই চলে এসেছি খেতে।’
উদ্যোক্তারা বলছেন, শিক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। বরিশাল থেকে নাগা মরিচ এনে প্রস্তুত করা হয় ভিন্ন স্বাদের এ শিঙাড়া। ভালো সাড়া পেলে শুধু বিশ্ববিদ্যালয় নয়, শহরের বিভিন্ন জায়গায়ও এমন উদ্যোগ নিতে চান তারা।
উদ্যোক্তাদের একজন শিক্ষা গবেষণা ইনস্টিটিউটের ছাত্রী মাইশা। তিনি বলেন, প্রথমে ছোট ব্যবসা না করে কখনো বড় ব্যবসার দিকে মনোনিবেশ করা যায় না। আমরা ব্যবসার পরিধি বাড়াতে চাই।
শিক্ষার্থী আল-ইমরান জাগো নিউজকে বলেন, এখন পর্যন্ত খুব ভালো সাড়া পাচ্ছি। তবে আমাদের চিন্তা থাকবে খাবারের মান ঠিক রেখে কম মূল্যেই বিক্রি করা।
মনির হোসেন মাহিন/এসআর/জেআইএম