ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ক্যাম্পাস

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

শিক্ষকের ওপর হামলার প্রতিবাদে মহাসড়ক অবোরোধ

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৫:০৯ পিএম, ০৮ জুন ২০২৩

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও আল-হাদিস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমানের ওপর হামলার প্রতিবাদে কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (৮ জুন) সকাল ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনের মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন তারা। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে সৃষ্টি হয় যানজটের। ফলে দুর্ভোগে পড়েন যাত্রী ও পথচারীরা।

বিক্ষোভে শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘আমাদের শিক্ষকের ওপর হামলা করা হয়েছে। হামলাকারী চিহ্নিত। হামলার ২৪ ঘণ্টা পার হলেও এখন পর্যন্ত হামলাকারীকে গ্রেফতার করা হয়নি। আমরা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারীকে গ্রেফতার করে দ্রুত আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি।’

এছাড়া হামলাকারী শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত অগ্রণী ব্যাংক ইবি শাখা বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন বিক্ষোভকারীরা এবং দাবি মেনে নেওয়া না হলে পরবর্তীতে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দেন তারা।

মহাসড়ক অবরোধের আধাঘণ্টা পর ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. শফিকুল ইসলাম ও সহকারী প্রক্টর শরিফুল ইসলাম জুয়েলসহ প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। ১০টার দিকে প্রক্টরিয়াল বডির আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেন শিক্ষার্থীরা।

ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. শফিকুল ইসলাম বলেন, বুধবার কুষ্টিয়াতে একটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নেমেছে। তাদের দাবি যৌক্তিক। আমি তাদেরকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছি। নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতির মাধ্যমে আমরা বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করবো।

এদিকে বিক্ষোভ শেষে হামলাকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে শিক্ষার্থীরা। অগ্রণী ব্যাংক ইবি শাখার ম্যানেজারের নিকট স্মারকলিপিটি হস্তান্তর করেন তারা।

ভবন নির্মাণকে কেন্দ্র করে প্রতিহিংসার জেরে বুধবার সকালে কুষ্টিয়ার হাউজিং ডি ব্লক আবাসিক এলাকায় ইবি শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমানের ওপর অতর্কিত হামলা করেন তার প্রতিবেশী ব্যাংক কর্মকর্তা সোহেল মাহমুদ। অভিযুক্ত সোহেল মাহমুদ অগ্রণী ব্যাংক চৌড়হাস ব্রাঞ্চে কর্মরত। হামলায় এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি ও লাথি মারতে থাকেন তিনি। পরে ওই অধ্যাপক সেখান থেকে নিজেকে রক্ষা করে তার সহকর্মী অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান ও অধ্যাপক ড. আব্দুল বারীকে ফোন করে জানালে তারা তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে যান।

এছাড়া ওই ব্যাংক কর্মকর্তা ফোনে একাধিকবার তাকে ও তার পরিবারের সদস্যদের সরাসরি প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি। এ ঘটনায় বুধবার রাতেই নিরাপত্তা চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর, শিক্ষক সমিতি ও রেজিস্ট্রারের কাছে পৃথক তিনটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তিনি। এর আগে ২০২২ সালের ৭ জুনও ওই ব্যাংক কর্মকর্তার হামলার শিকার হয়েছিলেন তিনি ও তার সহকর্মী অধ্যাপক ড. আব্দুল বারী।

রুমি নোমান/এসজে/জেআইএম