ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ক্যাম্পাস

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

সমাবর্তনে মা-বাবাকে নিয়ে এসেছেন শুভ

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক | জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় | প্রকাশিত: ০৯:৪৩ এএম, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ থেকে সদ্য স্নাতক শেষ করেছেন শুভ সরকার। শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) তিনি অংশ নিবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ষষ্ঠ সমাবর্তনে। শিক্ষাজীবনের গুরুত্বপূর্ণ এ দিনকে স্মৃতিময় করতে একদিন আগেই দিনাজপুর থেকে বাবা-মাকে ক্যাম্পাসে এনেছেন তিনি।

কার্তিক চন্দ্র ক্ষিতিশ (৬১) ও হাসি রানী সরকারের (৫০) তৃতীয় সন্তান শুভ। সমাবর্তন গাউন এবং ক্যাপ পরে বাবা-মায়ের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার এলাকায় ছবি তুলছিলেন শুভ। প্রথমবারের মতো তারা এসেছেন এ ক্যাম্পাসে।

ছেলের অর্জনের দিনে পাশে থাকার অভিব্যক্তি জানিয়ে কার্তিক চন্দ্র ক্ষিতিশ বলেন, ‘আমার ছেলেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করিয়ে দিয়ে আমি আনন্দ পেয়েছি। আমার ছেলে গ্রাজুয়েট হয়েছে। আমার ভালো লাগতেছে। এখানকার যে অনুষ্ঠান তা দেখে আমার মনটা অনেক শান্তি হয়েছে। আমি গর্ববোধ করছি।’

সমাবর্তনে মা-বাবাকে নিয়ে এসেছেন শুভ

তিনি আরও বলেন, ‘আমার আরেক মেয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে। সন্তানদের পড়াশোনায় কোনো রকম কৃপণতা করিনি। আনন্দের সহিত আমার সামর্থ্য অনুযায়ী চেষ্টা করে গেছি। জমিজমা কেনার চেয়ে আমি তাদের মানুষ করতে পেরেছি এতেই সৃষ্টিকর্তার কাছে কৃতজ্ঞ।’

হাসি রানী বলেন, ‘আমার ছেলে গ্রাজুয়েশন পাশ করেছে। আমার খুব ভালো লাগছে। আমি এতে খুব খুশি। যে স্বপ্ন নিয়ে ছেলেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠিয়েছি তার অনেকটা পূরণ হয়েছে।’

আরও পড়ুন: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ষষ্ঠ সমাবর্তন ২৫ ফেব্রুয়ারি

মা-বাবাকে ক্যাম্পাসে নিয়ে আসার অভিব্যক্তি জানিয়ে শুভ সরকার বলেন, ‘এই অনুভূতিটি প্রকাশ করা মতো না। আপনারা যদি আমার চোখের দিকে তাকান, আমার চোখের কোণায় জল চলে এসেছে। আসলে এটা যে কত আনন্দের, একজন সন্তানের জন্য কত গর্বের বিষয় শুধুমাত্র সন্তানই তা জানে।’

সমাবর্তনে মা-বাবাকে নিয়ে এসেছেন শুভ

তিনি আরও জানান, ‘এখানে আসার পিছনে আমার বাবা-মায়ের অবদান সবচেয়ে বেশি। আমার বড় ভাই আমার এবং আমার বোনের পড়াশোনার জন্য তার সবকিছু বিলিয়ে দিয়েছেন। তিনি জীবনে নিজের জন্য না ভেবে আমাদের জন্য কাজ করে গেছেন। আমি তার প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞ।’

কান্নাজড়িত কণ্ঠে শুভ আরও বলেন, ‘আমি যে জায়গা থেকে এসেছি, সেখান থেকে এখানে আসতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে। অনেক প্রতিবন্ধকতা পার করে আসতে হয়েছে। আমার গ্রামের আমিই প্রথম কোনো ব্যক্তি যে এধরনের একটি সমাবর্তনে অংশ নিচ্ছি। সুতরাং এ আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করা মতো নয়, এ আনন্দ স্বর্গীয়। এ আনন্দ পৃথিবীতে খুব কম মানুষেই কম সময়ে পেয়েছে বলে আমি মনে করি।’

মাহবুব সরদার/আরএইচ/জেআইএম