ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ক্যাম্পাস

চার বিভাগে পুনর্মিলনী, বর্ণিল সাজে সজ্জিত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

ক্যাম্পাস প্রতিবেদক | রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় | প্রকাশিত: ০২:১০ এএম, ২৪ ডিসেম্বর ২০২২

স্নিগ্ধ মৃদু শীতে সুন্দর একটি দিনের পরিসমাপ্তি। সূর্য পশ্চিম আকাশে হেলে পড়তেই নেমে এলো সন্ধ্যা। সঙ্গে সঙ্গেই আলোকসজ্জায় রঙিন হলো ক্যাম্পাস। বাহারি রঙের ছড়াছড়ি যেনো পুরো ক্যাম্পাস জুড়ে। ক্যাম্পাসে লাল, নীল, সবুজ, হলুদসহ বাহারি রঙের আলোর ছড়াছড়ি। ক্ষণে ক্ষণে মিটিমিটি জ্বলছে তারা। পিচডালা রাস্তায় শোভা পাচ্ছে রং-বেরঙের আলপনা। চারটি বিভাগের পুনর্মিলনী এক সঙ্গে হওয়ায় এভাবেই সেজেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ক্যাম্পাস।

শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগ, ইংরেজি বিভাগ, বাংলা বিভাগ ও দর্শন বিভাগ পুনর্মিলনী শুরু হয়। এতে অংশ নেওয়া প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে জমিয়েছেন আড্ডা, করছেন স্মৃতিচারণ, সঙ্গে রয়েছে তাদের স্ত্রী-সন্তানরাও। এদিন সকালে বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে পুনর্মিলনীর আয়োজন শুরু করা হয়। সন্ধ্যা হতেই বর্ণিল আলোয় আলোকিত হয়ে উঠে পুরো ক্যাম্পাস।

সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ কলাভবন, মমতাজউদ্দিন আহমেদ কলা ভবন, ড. মুহম্মদ কুদরাত-এ-খুদা একাডেমিক ভবন, শহীদুল্লাহ চত্বরসহ ভবনগুলোর রাস্তাঘাট ও প্রতিটি গাছে গাছে লাগানো হয়েছে উন্নত মানের আলোক সজ্জা। সেই রঙিন আলো ছড়িয়ে পড়ছে চারদিকে। ফলে ক্যাম্পাসে সৃষ্টি হয়েছে উৎসব মুখর পরিবেশ। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য করা হয়েছে বিশাল পেন্ডেল। এছাড়াও রয়েছে ফটোসেশনের জন্য আলাদা ব্যবস্থা।

১৯৯১-৯২ ব্যাচের দর্শন বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ফাতেমা বেগম। বর্তমানে তিনি ব্রাকে সিনিয়র কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনি বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেকদিন পর বন্ধুদের সঙ্গে আবারও এক হতে পেরে খুবই আনন্দিত। এ মিলন মেলায় বন্ধুবান্ধব ও বিভাগের শিক্ষকদের সঙ্গে মিলিত হতে পেরে আবারও মনে সেই তারুণ্যের ছোঁয়া লেগেছে বলে জানান এ সাবেক শিক্ষার্থী।

ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী রাজু বলেন, পুনর্মিলনী কেন্দ্র করে বিভিন্ন আলোক সজ্জ্বায় সজ্জিত করেছি আমাদের ডিপার্টমেন্ট ও চত্বর। আমাদেরসহ আরও তিনটা ডিপার্টমেন্টে এক সঙ্গে পুনর্মিলনী হওয়ায় ক্যাম্পাসে উৎসবের আমেজ তৈরি হয়েছে। এখানে সাবেক-বর্তমান শিক্ষার্থী একে অন্যের সাথে পরিচিত হচ্ছে। এ পরিচিতির মাধ্যমে বড় ভাইয়া ও আপুদের সঙ্গে আমাদের এক এক ধরনের মেল বন্ধন সৃষ্টি হচ্ছে। এমন পুনর্মিলনী প্রতি বছর হওয়া উচিত বলে মনে করেন এ শিক্ষার্থী।

মনির হোসেন মাহিন/এমআইএইচএস