ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ক্যাম্পাস

বঙ্গমাতা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

শেষ কর্মদিবসেও ক্যাম্পাসে এলেন না উপাচার্য

জেলা প্রতিনিধি | জামালপুর | প্রকাশিত: ০৩:৫৪ পিএম, ১৮ নভেম্বর ২০২২

শেষ কর্মদিবসেও ক্যাম্পাসে এলেন না জামালপুরের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেফমুবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদ। বর্তমানে তিনি ঢাকায় অবস্থান করছেন।

বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) ছিল উপাচার্য সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদের শেষ কর্মদিবস। তবে এদিন তিনি ক্যাম্পাসে উপস্থিত ছিলেন না। জানা গেছে, অসুস্থতার কথা বলে প্রথমে জামালপুর শহর ও পরে ঢাকায় চলে গেছেন উপাচার্য।

২০১৮ সালের ১৯ নভেম্বর বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য হিসেবে যোগ দেন অধ্যাপক সামসুদ্দিন আহমেদ।

জানতে চাইলে উপাচার্য অধ্যাপক সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, ‘যোগদানের পর থেকেই আমি সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছি। এ চার বছরে কেউ কিছু বলেননি। হঠাৎ আমার সন্তানের মতো শিক্ষকদের কী হলো তা বুঝতে পারছি না।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) অনুমোদনের জন্য তিনি ঢাকায় অবস্থান করেন। পরে রাজশাহী চলে গেছেন বলেও জানান উপাচার্য।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য এবং কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহমুদুল আলম জাগো নিউজকে বলেন, কর্মদিবসের শেষ দিনেও বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেননি উপাচার্য। অথচ এ দিনে ফুলেল শুভেচ্ছাসহ নানা আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে তার সংবর্ধনা পাওয়ার কথা ছিল।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ক্ষমতার অপব্যবহার, নিয়োগ বাণিজ্য, পদোন্নতি, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতাসহ নানা অভিযোগে উপাচার্য সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদের অপসারণসহ ১০ দফা দাবিতে গত ২ নভেম্বর থেকে কর্মবিরতি, অবস্থান কর্মসূচি ও সংবাদ সম্মেলনসহ আন্দোলনে নামেন শিক্ষকরা।

আন্দোলনের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে সবধরনের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এতে বিপাকে পড়েন শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে ক্লাস ও পরীক্ষার দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষকদের সময়সীমা বেধে দেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও ছাত্রনেতারা। এ অবস্থায় গত ১৩ নভেম্বর সন্ধ্যায় আন্দোলনরত শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন উপাচার্য।

সভায় সিদ্ধান্ত হয়, ১৪ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য অর্থ কমিটির সভা ও ১৫ নভেম্বরের সিন্ডিকেট সভায় শিক্ষকদের সব দাবি অনুমোদন করা হবে।

কিন্তু বৃহস্পতিবার উপাচার্যের শেষ কর্মদিবসে বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, পুরো ক্যাম্পাসে সুনসান নীরবতা। কক্ষে ঝুলছে তালা। আন্দোলনরত শিক্ষকরা একাডেমিক ভবনে প্রক্টর অফিসে তাদের চলমান আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচি নিয়ে সভা করছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ও আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী সহকারী অধ্যাপক ড. এএইচএম মাহবুবুর রহমান জানান, অসুস্থতার কথা বলে প্রথমে জামালপুর ও পরে পালিয়ে ঢাকায় চলে গেছেন উপাচার্য।

এরআগে বুধবার (১৬ নভেম্বর) প্রশাসনিক ভবনের সামনে উপাচার্যের কুশপুতুল দাহ ও কালো ব্যাজ ধারণ করেন আন্দোলনকারীরা।

নাসিম উদ্দিন/এসআর/এএসএম