ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ক্যাম্পাস

ঢাবিতে দুই ছাত্রলীগকর্মীর বিরুদ্ধে মোটরসাইকেল ছিনতাইয়ের অভিযোগ

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় | প্রকাশিত: ০৯:১৯ এএম, ০৪ আগস্ট ২০২২

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে এক যুবকের মোটরসাইকেল, মোবাইলফোন ও টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সূর্যসেন হল ছাত্রলীগের দুই কর্মীর বিরুদ্ধে।

বুধবার (৩ আগস্ট) এ ঘটনায় শাহবাগ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন প্রজিত দাস (২৮) নামের ওই ভুক্তভোগী যুবক। মঙ্গলবার (২ আগস্ট) রাত সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি চত্বর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত মো. তুষার হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী। তিনি ২০১৯ সালের ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রলীগের প্যানেল থেকে সদস্য পদে মনোনয়ন পেয়েছিলেন। মো. শামীমুল ইসলাম ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী।

ভুক্তভোগী প্রজিত নড়াইলের নরাগাতি থানা এলাকার গন্ধবাড়ীয়ার বিরেন্দ্র নাথ দাসের ছেলে। থানায় দেওয়া অভিযোগে তিনি বলেন, আমি মোটরসাইকেলযোগে পলাশী থেকে টিএসসির উদ্দেশ্যে রওনা দিই। রাত সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি চত্বরে সূর্যসেন হলের মো. তুষার হোসেন ও মো. শামীমুল ইসলামসহ অজ্ঞাতনামা ৫-৬ জন আমার মোটরসাইকেল থামিয়ে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করতে থাকে। এসময় মোটরসাইকেল ও মোবাইলফোন জোরপূর্বক নিয়ে যেতে চাইলে আমি প্রতিবাদ করি। পরে তারা আমাকে লাঠি দিয়ে মেরে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম করে।

অভিযোগে তিনি আরও বলেন, পরে তারা আমাকে সূর্যসেন হলের গেস্টরুমে নিয়ে ফের মারধর করে। তারা আমার মোটরসাইকেল মোবাইল ও নগদ ১৭ হাজার টাকা নিয়ে যায়। তারপর খালি হাতে ধাক্কা মেরে বের করে দেয়। এসময় তারা আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।

বিষয়টি জানতে পেরে সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের ছাত্রলীগ নেতা মিলন খান ও এফ রহমান হলের সাগর হোসেন সোহাগ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। তারা প্রজিতকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে ভর্তি করেন। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন তিনি।

এ বিষয়ে অভিযুক্তদের ফোন দেওয়া হলে তাদের কাছ থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মওদুত হাওলাদার জাগো নিউজকে বলেন, অভিযোগটি আমরা পেয়েছি, তবে অভিযোগকারীর সঙ্গে এখনো কথা বলতে পারিনি। কথা বলে বিষয়টি যাচাই করা গেলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া যাবে।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী জাগো নিউজকে বলেন, আমরা শুনেছি এ অভিযোগের কথা। অভিযোগকারী ক্যাম্পাসের না। তাই আমরা এখনই কিছু বলতে পারছি না৷ তবে প্রশাসন আমাদের কাছে কোনো সহযোগিতা চাইলে আমরা করবো। আর এ অভিযোগ প্রমাণিত হলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আল-সাদী ভূঁইয়া/এমআইএইচএস