ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ক্যাম্পাস

নিপীড়কদের বিচারের দাবিতে সোচ্চার জাবি

প্রকাশিত: ০২:১৩ পিএম, ২৬ জানুয়ারি ২০১৬

ছাত্রলীগ কর্মীদের দ্বারা যৌন নিপীড়ন, বহিরাগত শিক্ষার্থীদের মারধর এবং শিক্ষক লাঞ্ছনার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি, জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম ও ছাত্র ইউনিয়ন। পৃথকভাবে সংবাদ সম্মেলন ও বিবৃতিতে এ দাবি জানিয়েছে সংগঠনগুলো।

মঙ্গলবার শিক্ষক সমাজের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে দর্শন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রায়হান রাইন অভিযোগের গুরুত্ব বিবেচনা করে প্রশাসনকে অতি দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের যথাযথ শাস্তি প্রদানের দাবি জানান। প্রশাসন নিপীড়ক ছাত্রলীগ কর্মীদের বাঁচাবার চেষ্টা করলে বিচারের দাবিতে ক্যাম্পাস অস্থিতিশীল হলে তার জন্য প্রশাসনই দায়ি থাকবে বলে জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলন থেকে আধিপত্য, বৈষম্য ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে শিক্ষক সমাজ নিপীড়নকারী ছাত্রলীগ কর্মীদের বিচারের দাবিসহ ৬ দফা দাবি উপস্থাপন করেন।

তাদের দাবিসমূহের মধ্যে রয়েছে, নির্যাতনকারী শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চিরতরে বহিষ্কার, নিপীড়ন বিরোধী সেলে তদন্তের মাধ্যমে নিপীড়নকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান, ৭ দিনের মধ্যে লাঞ্ছনা ও শারীরিক নির্যাতনের বিচার সম্পন্ন, হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী যৌন নিপীড়নের ঘটনার বিচার ও দোষীদের শাস্তির আওতায় আনা, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিচার কাজ শেষ না হলে বা নিপীড়কদের পৃষ্ঠপোষকতা করা হলে কাঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি এবং প্রবেশিকা অনুষ্ঠানে উপাচার্যের বক্তৃতার পাশাপাশি হাইকোর্ট প্রণীত যৌন নিপীড়নবিরোধী ও র্যাগবিরোধী নীতিমালার কপি শিক্ষার্থীদের প্রদানের দাবি করা হয়েছে।

অন্যদিকে, এ ঘটনায় সন্ত্রাসীদের বিচারের দাবি জানিয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।  সম্প্রতি গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে তারা এ দাবি জানান। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ছাত্র নামধারী কতিপয় সন্ত্রাসীদের কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করায় ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মোজাহিদুল ইসলামের সাথে সন্ত্রাসীরা অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের কাছেও এ ঘটনার বিচারের দাবি জানিয়েছেন তারা।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালের জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম রোববার এ ঘটনায় উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে অনতিবিলম্বে দোষীদের শনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে।

এই ঘটনায় জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়েছে ছাত্র ইউনিয়ন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ। সংগঠনের সভাপতি তন্ময় ধর ও সাধারণ সম্পাদক দীপাঞ্জন সিদ্ধান্ত কাজল স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।

উল্লেখ্য, গত ২১ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই দর্শনার্থী শিক্ষার্থীকে লাঞ্ছিত করার সময় বাধা দেয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মোজাদিুল ইসলামকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের তিন কর্মীর বিরুদ্ধে।

অভিযুক্ত ওই তিন শিক্ষার্থী হলেন আবু সাদাত মো. সায়েম (সরকার ও রাজনীতি বিভাগ- ৪০তম আবর্তন), জামশেদ আলম (আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ- ৪৩তম আবর্তন) ও জাহিদ হাসান (বাংলা বিভাগ- ৪৩ তম আবর্তন)।

এ বিষয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহমেদ রাসেল বলেন, এ বিষয়ে যদি প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্যতে ছাত্রলীগ কর্মীরা দোষী প্রমাণিত হয় তাহলে অবশ্যই আমরা সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেবো।

জানতে চাইলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক তপন কুমার সাহা বলেন, আমারা তিনদিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর জন্য শনিবার তাদেরকে নোটিশ দিয়েছি। তাদের কাছ থেকে উত্তর আসলেই আমরা প্রশাসনের কাছে দ্রুত প্রতিবেদন জমা দিয়ে দেবো।

হাফিজুর রহমান/এসকেডি/আরআইপি