ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ক্যাম্পাস

জাফর ইকবাল দম্পতিকে ইমেরিটাস অধ্যাপক চান শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক | শাবিপ্রবি | প্রকাশিত: ০৫:৫০ পিএম, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২২

বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও তার সহধর্মিণী অধ্যাপক ড. ইয়াসমিন হককে ইমেরিটাস অধ্যাপক হিসেবে দেখতে চান সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সিলেট সার্কিট হাউজে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সঙ্গে বৈঠকে এ দাবি উত্থাপন করার কথা থাকলেও পরে তা উত্থাপন করেননি শিক্ষার্থীরা। তবে শিক্ষার্থীদের অনেকেই জাফর ইকবাল দম্পতিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক হিসেবে চাইছেন।

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সঙ্গে বৈঠকে বসেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিদল।

বিকেলে সিলেট সার্কিট হাউজে এ বৈঠক শুরু হয়। মন্ত্রীর সঙ্গে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলও উপস্থিত আছেন।

সূত্র জানায়, বৈঠকে শাবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের অপসারণ কেন প্রয়োজন তার ব্যাখ্যা তুলে ধরবেন শিক্ষার্থীরা। এছাড়া অন্যান্য দাবি পূরণের নিশ্চয়তাও চাইবেন তারা।

এর আগে দুপুর আড়াইটায় ক্যাম্পাস থেকে রওনা দেয় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ১২ সদস্যের প্রতিনিধিদল।

প্রতিনিধিদলে আছেন-মোহাইমিনুল বাশার রাজ, ইয়াসির সরকার, নাফিসা আনজুম, সাব্বির আহমেদ, আশিক হোসাইন মারুফ, সাবরিনা শাহরিন রশীদ, সুদীপ্ত ভাস্কর অর্ঘ, শাহরিয়ার আবেদিন, আমেনা বেগম, মীর রানা ও জাহিদুল ইসলাম অপূর্ব।

বৈঠকে যোগ দিতে সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে বিমানে করে সিলেট এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসেন শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি। এসময় সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ সংশ্লিষ্টরা তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। দুপুর ১২টায় সিলেট সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি।

ঘটনার সূত্রপাত শাবিপ্রবির বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হল নিয়ে। গত বছরের ২৫ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের সব আবাসিক হল খুলে দেওয়া হয়। প্রায় ১৯ মাস পর ওইদিন থেকে হলে ফিরতে শুরু করেন আবাসিক শিক্ষার্থীরা। ফেরার পর হলে তারা বিভিন্ন সংস্কার দেখতে পান। পাশাপাশি বেশকিছু নতুন নিয়মনীতি ও সমস্যার সম্মুখীন হন বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের আবাসিক ছাত্রীরা।

এরপর থেকে হলের এসব নিয়মনীতি, সিট বণ্টন, খাবার সমস্যা, ওয়াইফাই সমস্যা, পানির সমস্যা, বাইরের হোস্টেলের ভাড়া নিয়ে দিন দিন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে হল প্রভোস্ট বডির দূরত্ব বাড়তে থাকে। ছাত্রীদের অভিযোগ, এসব বিষয়ে অভিযোগ করে প্রভোস্ট বডির ‘অসদাচরণের’ শিকার হয়েছেন তারা।

এসব কারণে গত ১৩ জানুয়ারি থেকে বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রভোস্ট কমিটির পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা।

এরপর ১৬ জানুয়ারি বিকেলে তিন দফা দাবি আদায়ে উপাচার্যকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইআইসিটি ভবনে অবরুদ্ধ করেন শিক্ষার্থীরা। পরে পুলিশ উপাচার্যকে উদ্ধার করতে গেলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই সময় পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন। এ ঘটনায় পুলিশ ৩০০ জনকে অজ্ঞাত দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা করে।

এরপর শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলার ঘটনায় উপাচার্যকে দায়ী করে তার পদত্যাগ দাবি করে এতদিন আমরণ অনশনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি চালিয়ে আসছিলেন শিক্ষার্থীরা। বুধবার (২৬ জানুয়ারি) টানা সাতদিনের অনশন ভাঙলেও উপাচার্যের অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অহিংস আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

মোয়াজ্জেম আফরান/এসআর/এএসএম