ঢাবিছাত্রীর মৃত্যু, শরীরে আঘাতের চিহ্ন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নৃত্যকলা বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের শিক্ষার্থী ইলমা চৌধুরী মেঘলার রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, তাকে হত্যা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে বনানীতে স্বামীর বাসায় তার মৃত্যু হয়। মেঘলার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির মানুষ এটাকে আত্মহত্যা বললেও মেঘলার পরিবার এটি হত্যা বলছেন।
অজ্ঞান অবস্থায় মেঘলাকে গুলশান ইউনাইটেড হসপিটাল লিমিটেডে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। ময়নাতদন্তের জন্য এখন তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মেঘলার মা সিমথি চৌধুরী বলেন, আমার মেয়ে আত্মহত্যা করতে পারে না। তাকে হত্যা করা হয়েছে। আমি এর বিচার চাই বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
নিহত শিক্ষার্থী মেঘলার শরীরের আঘাতের চিহ্ন/ছবি: জাগো নিউজ
মেঘলার আরেক সহপাঠী মর্জিনা নাসরিন মুমু বলেন, আমাদের প্রথমে জানানো হয়েছে তিনি (মেঘলা) আত্মহত্যা করেছেন। কিন্তু আমরা হাসপাতালে গিয়ে দেখি তার শরীরে মারধরের আঘাত রয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী জাগো নিউজকে বলেন, আমরা মৃত্যুর সংবাদ পেয়েছি। এটি খুবই দুঃখজনক। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়ার কথা শুনেছি। আমরা তার পরিবারের সঙ্গে মিলে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীর পরিবারের পক্ষে কাজ করবে। ন্যায়বিচারের জন্য যা যা করা দরকার তা করবে। হাসপাতালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা রয়েছেন বলে জানান তিনি।
বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরে আজম মিয়া জাগো নিউজকে বলেন, নিহতের স্বামী ইফতেখার আবেদীনকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আল-সাদী ভূঁইয়া/এআরএ