ঢাকা কলেজের ১৮০ বছর পূর্তিতে বর্ণাঢ্য র্যালি
দেশের প্রাচীন বিদ্যাপীঠ ঢাকা কলেজের ১৮০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র্যালি করেছে কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মচারীরা।
শনিবার (২০ নভেম্বর) সকাল ৯টায় কলেজের মূল ভবনের সামনে থেকে এ র্যালি মিরপুর রোডের সায়েন্সল্যাব ও নীলক্ষেত মোড় প্রদক্ষিণ করে আবার কলেজে এসে শেষ হয়।
এসময় ঘোড়ার গাড়ি, রঙিন জরি ও বাঁশির শব্দে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো এলাকা। শিক্ষার্থীদের বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে দীর্ঘদিন পর প্রাণ ফিরে পায় কলেজ ক্যাম্পাস।
র্যালিতে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার, উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক এ টি এম মইনুল হোসেন, শিক্ষক পরিষদ সম্পাদক ড. আব্দুল কুদ্দুস সিকদারসহ কলেজের বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
কলেজের ১৮০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শুভেচ্ছা জানিয়ে অধ্যক্ষ অধ্যাপক আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার বলেন, উপমহাদেশের অন্যতম প্রাচীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঢাকা কলেজ। এটি পূর্ববঙ্গ ও আশপাশের এলাকায় শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান হিসেবে শিক্ষা বিস্তার করে আসছে। যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়নি তখন এটিই ছিল একমাত্র উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ঢাকা কলেজের বিশেষত্ব হলো ১৮০ বছরেও দেশে শ্রেষ্ঠত্বের আসন ধরে রেখেছে। আশা করি, আগামীতেও এ যাত্রা অব্যাহত থাকবে।
তিনি আরও বলেন, ২০৪১ সালে উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনের জন্য যে অগ্রযাত্রা, সেখানে শিক্ষা মূল নিয়ামক। সেভাবে শিক্ষার্থীদের গড়ে তুলতে আমরা এখানে নতুন নতুন বিষয়ে অনার্স-মাস্টার্সের উদ্যোগ নিয়েছি। আশা করি আগামীতে নতুন নতুন বিষয়ে পাঠদানের সুযোগ তৈরি করতে পারবো।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে আলোকসজ্জা করা হয়। সরেজমিনে ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা যায়, কলেজের মূল ফটক থেকে শুরু করে প্রশাসনিক ভবন, বিজয় চত্বর, স্বাধীনতা চত্বর, নতুন ভবন, শহীদ মিনার চত্বরসহ দুইপাশের সীমানা প্রাচীর জুড়ে বর্ণিল আলোকসজ্জা। ক্যাম্পাসজুড়ে সাজ সাজ রব। এসময় শিক্ষার্থীদের দলবেঁধে ঘুরতে আর আনন্দ-উল্লাস করতে দেখা যায়।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুইদিনের কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। এ উপলক্ষে আজ (২০ নভেম্বর) দুপুর ৩টায় কলেজের মাঠে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ, রাত ৮টায় অনুমতি পাওয়া সাপেক্ষে আতশবাজি ফুটানো হবে। এছাড়া কলেজের বিভিন্ন সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রদর্শনী স্টল ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হচ্ছে।
নাহিদ হাসান/এআরএ/এএসএম