জাবি প্রক্টরের অব্যাহতির দাবি
উস্কানিমূলক বক্তব্য ও ক্ষমতার অপব্যাবহারের অভিযোগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রক্টোর অধ্যাপক ড. তপন কুমার সাহার অব্যাহতির দাবি জানিয়েছেন বামপন্থি শিক্ষকরা। শনিবার সন্ধ্যা ছয়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বামপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন ‘শিক্ষক মঞ্চ’ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।
ফার্মেসী বিভাগের রজত জয়ন্তী ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের দিন এক শিক্ষার্থীর অসুস্থ হওয়াকে কেন্দ্র করে মারধর ও গুলির ঘটনায় যথাযথ পদক্ষেপ না নিয়ে ‘উস্কানীমূলক বক্তব্য দেয়ায় দায়িত্বহীন কাজ করায়’ এ দাবি জানানো হয়েছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
বিবৃতিতে শিক্ষক মঞ্চের পক্ষ থেকে বলা হয়, “মারধর ও গুলির ঘটনায় যথাযথ পদক্ষেপ না নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ছাত্রলীগ কর্মীদেরকে দিয়ে একজন শিক্ষককে আটকে রাখতে বলে যে উস্কানি দিয়েছেন তা অত্যন্ত গর্হিত একটি কাজ।”
এর আগেও রাসায়ন বিভাগের অধ্যাপক তপন কুমার সাহার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের হয়রানির অভিযোগ আছে বলে উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে।
এছাড়া বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘বর্তমান ঘটনায় প্রক্টোর আত্মপক্ষ সমর্থন করে যে বক্তব্য পত্রিকায় পাঠিয়েছেন তা থেকে প্রতীয়মান হয় যে, প্রক্টর হিসেবে দায়িত্বের সীমানা কতখানি সে ব্যাপারেও তিনি অবহিত নন। আমরা অত্যন্ত বিস্মিত হয়েছি, একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে এমন উস্কানিমূলক বক্তব্যের ব্যাপারে শিক্ষক সমিতির কোনো ভাষ্য নেই। আমরা মনে করি, অধ্যাপক তপন কুমার সাহা প্রক্টোর হিসেবে দায়িত্ব পালনের যোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছেন। অবিলম্বে তাকে এ পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হোক।
উল্লেখ্য, গত ১৮ ডিসেম্বর ফার্মেসী বিভাগের রজত জয়ন্তী অনুষ্ঠান উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলাকালে মীর মশাররফ হোসেন হলের এক শিক্ষার্থীকে মারধর ও দুই রাউন্ড গুলি করে ছাত্রলীগকর্মী ও ফার্মেসী বিভাগের ৩৯তম আবর্তনের শিক্ষার্থী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের আবাসিক ছাত্র মহিদুর রহমান রাসেল।
এ ঘটনার পরপরই বিচার চাইতে মীর মশাররফ হোসেন হলের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অডিটরিয়ামের সামনে জড়ো হয়। এসময় তারা ফার্মেসী বিভাগের সভাপতি সুকল্যাণ কুমার কুণ্ডর সঙ্গে দেখা করে এর প্রতিকার চাইলে তিনি ঘটনার জন্য শৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকা প্রক্টরিয়াল টিমকে জানানোর জন্য বলেন।
কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের উপ-সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক ও মীর মশাররফ হোসেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী বশিরুল হক প্রক্টরকে ফোন দিয়ে ঘটনার প্রতিকার চাইলে প্রক্টর ফার্মেসী বিভাগের অনুষ্ঠানে তাকে দাওয়াত দেওয়া হয়নি জানিয়ে এ ঘটনায় তিনি কিছু করতে পারবেনা না বলে জানান।
হাফিজুর রহমান/এএইচ/আরআইপি
সর্বশেষ - ক্যাম্পাস
- ১ ৩ দিনব্যাপী ‘সংসক্তি সংঘট্ট: সাংস্কৃতিক প্রতিরোধ’ শুরু শুক্রবার
- ২ রাবিতে পোষ্য কোটা বাতিল চেয়ে আমরণ অনশনে ছয় শিক্ষার্থী
- ৩ জাবির ভর্তি পরীক্ষায় কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন
- ৪ ঢাবিতে ‘গ্লোবাল মিডিয়া অ্যান্ড ইনফরমেশন লিটারেসি সপ্তাহ’ উদযাপন
- ৫ ঢাবি ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি কেমন হবে নির্ধারণে বিশেষ কমিটি