ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ক্যাম্পাস

২৬ অক্টোবর থেকে ক্যাম্পাসেই টিকা পাবেন নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা

জেলা প্রতিনিধি | নোয়াখালী | প্রকাশিত: ০৮:১০ পিএম, ২৪ অক্টোবর ২০২১

আগামী ২৬ অক্টোবর থেকে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) ক্যাম্পাসেই শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হবে।

রোববার (২৪ অক্টোবর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নোবিপ্রবি কোভিড-১৯ ল্যাবের ফোকাল পয়েন্ট ও অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমেদ।

তিনি বলেন, যেসব শিক্ষার্থী নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল কেন্দ্রে রেজিস্ট্রেশন করে এখনো টিকার একটি ডোজও পায়নি এবং পূর্বে অন্য কোথাও টিকার জন্য আবেদন করেনি শুধুমাত্র তারাই ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল নির্বাচন করে ক্যাম্পাসের টিকাকেন্দ্র থেকে টিকা নিতে পারবে।

তিনি আরও বলেন, ২৬ অক্টোবর থেকে এই কেন্দ্রে টিকাদান কর্মসূচি চালু হবে। এতে নোবিপ্রবি মেডিকেল সেন্টারের ডাক্তার ও নার্সের মাধ্যমে টিকা দেওয়া হবে। অন্যান্য আনুষঙ্গিক কাজে থাকবেন নোবিপ্রবি বিএনসিসির দশজন ক্যাডেট। ২৬ অক্টোবরের আগেই তাদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিয়ে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. জসিম উদ্দিন (অতিরিক্ত দায়িত্ব) বলেন, সুরক্ষা অ্যাপ দিয়ে ২৬ অক্টোবরের মধ্যে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে। যেসব শিক্ষার্থী রেজিস্ট্রেশনে টিকার কেন্দ্র হিসেবে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল নির্বাচন করে রেজিস্ট্রেশন করেছে (এসএমএস পায়নি) ও টিকা নেয়নি তাদের প্রথম ডোজ এবং যারা প্রথম ডোজ নিয়েছে তাদের দ্বিতীয় ডোজ নোবিপ্রবি কেন্দ্রে দেওয়া হবে।

যেসব শিক্ষার্থী নোয়াখালীর বাইরের কেন্দ্রে টিকার রেজিস্ট্রেশন করেছে তাদের এই কেন্দ্রে টিকা নেওয়ার সুযোগ না থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়া প্রত্যয়নপত্র নিয়ে নিজ নিজ জেলার সিভিল সার্জন অফিসে যোগাযোগ করে দ্রুত সময়ের মধ্যে টিকা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

নোবিপ্রবি মেডিকেল সেন্টারের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ও বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. ফারুক উদ্দিন টিকাকেন্দ্র প্রসঙ্গে বলেন, এটি অত্যন্ত ভালো একটি উদ্যোগ। আমার ছাত্রছাত্রীরা সচেতনভাবে নিজ উদ্যোগে এসে প্রথম ডোজ টিকা গ্রহণ করে ক্যাম্পাসে ফিরবে এটাই প্রত্যাশা।

দীর্ঘ ১৯ মাস পর আগামী ৩১ অক্টোবর থেকে নোবিপ্রবির আবাসিক হল খুলে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

ইকবাল হোসেন মজনু/ইউএইচ/জিকেএস